এবার ভারতে স্ত্রী-ছেলেকে কুপিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। সোমবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় সোদপুরের নীলগঞ্জ রোড এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় (৬০)। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর স্ত্রী তন্দ্রা (৫৬) এবং ছেলে সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় (৩৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিপ্লব বাবুর আসল বাড়ি ছিল সোদপুরের ইন্দ্রলোকে। কিছুদিন আগে তা বিক্রি করে দিয়ে নীলগঞ্জের ফ্ল্যাটে এসে ওঠেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বাজারে বহু দার-দেনা হয়েছিল বলে সুইসাইড নোটে লিখেছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গণিতে স্নাতক বিপ্লব বাবুর ছেলে সুমন। বহুদিন ধরেই চাকরির চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কোথাও কিছু হচ্ছিল না। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেও মৌখিক পরীক্ষায় ব্যর্থ হন তিনি। ছেলের বেকারত্ব এবং আর্থিক অনটনের জেরে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত।
এদিন সকালে বাড়ির ভিতর থেকে বাঁচানোর চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। তারা গেটের বাইরে থেকে ভিতরে সুমনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে তন্দ্রাদেবী ও সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আর ভিতরের আরেকটি ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের পাশ থেকে সুইসাইড নোট পায় পুলিশ। যাতে আর্থিক অনটনকেই নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গেয়েছেন বিপ্লব বাবু।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি-প্রতিদিন/এ মজুমদার