যে ভাবে যৌন নির্যাতন করলে অন্যায় হবে না, সে নির্দেশিকা বই আকারে প্রকাশ করবে আইএস। বইটিতে ৩২টি প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হবে, যে ভাবে যৌন নির্যাতন করা দোষের কিছু নয়।
যদিও তরুণী বা কিশোরীদের বন্দি করে রেখে যৌনদাসী হিসাবে ব্যবহার করার প্রচলন আইএস শিবিরে নতুন কিছু নয়। কিন্তু এই নতুন নির্দেশিকায় শিশুদেরও যৌন নির্যাতনের অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে একসঙ্গে দু’টির বেশি শিশুর মালিকানা নিতে পারবে না কোন আইএস। তাদের মধ্যে একটির সঙ্গেই যৌন নির্যাতন করা যাবে। অপরটিকে লাগানো যাবে ফাইফরমাশ খাটানোর কাজে। তবে ১২ বছরের উপরের কিশোরী বা পূর্ণবয়স্ক যৌনদাসী রাখার ক্ষেত্রে সংখ্যার কোন বিধিনিষেধ রাখছে না আইএস।
জানা যায়, নিজেদের মধ্যে ‘টেলিগ্রাম মেসেঞ্জার’ নামে একটি স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করছে আইএস সন্ত্রাসবাদীরা। সেখানে আড়ি পেতেই এইসব তথ্য জানতে পেরেছে মার্কিন গোয়েন্দারা। তাদের দাবি, সুন্দরী নারীদের তালিকা তৈরি করে তাদের নিলামেও তুলছে জঙ্গিরা। সাহসিকতার কাজ করতে পারলে পুরস্কার হিসাবে ধর্ষণের জন্য নারী সরবরাহ করছে তারা। এভাবে প্রায় ৩০০০ বন্দী নারীর তালিকা তৈরি করেছে আইএস। নিলামে তোলা নারীদের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যেই হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/11