প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার নিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন হিলারি। ওই বিষয়ে ফের তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে শুক্রবার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই।
এফবিআইয়ের এ ঘোষণার পর জাতীয়ভাবে করা বেশ কয়েকটি জরিপের ফলাফলে দেখা গিয়েছিল, ট্রাম্পের সঙ্গে হিলারির এগিয়ে থাকার ব্যবধান কমে গেছে, কোনো কোনো জরিপে ট্রাম্প এগিয়ে গেছেন বলেও দেখা যায়।
তবে বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ফের আগের অবস্থান ফিরে পেয়েছেন হিলারি। ট্রাম্পের চেয়ে হিলারির এগিয়ে থাকার ব্যবধান এখন বৃদ্ধি পেয়ে ৬ শতাংশ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র পাঁচদিন আগে একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কথা বলেছেন প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফ্লোরিডার পেন্সাকোলায় এই শেষ সময়ের এক প্রচারণায় তিনি জিতবেন বলে অনুমান প্রকাশ করেন ট্রাম্প। খোলা আকাশের নিচে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ইতোমধ্যেই এ রকম (জয়ের) অনুভূতি হচ্ছে, তাই না?”
তিনি বলেন, “আমরা সুন্দর ও শান্ত হয়েছি, সুন্দর ও শান্ত। বেশ, ডোনাল্ড, মূলপথে থাক, মূলপথে, গলিতে না; সুন্দর এবং স্বাচ্ছন্দ্য।”
এর আগে কয়েক মাস ধরে প্রচারণা চলাকালে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজের ক্ষতি ডেকে এনেছিলেন তিনি।
রয়টার্স সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, “দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার পক্ষে হিলারি অযোগ্য।” এ সময় হিলারিকে ‘পুরোপুরি বিকৃতমস্তিষ্ক’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
অপরদিকে একইদিন লাস ভেগাসে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হিলারি ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতিকে ‘অবিশ্বাস্যরকম বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়ভাবে করা সব জরিপের গড় করে রিয়েলক্লিয়ার পলিটিকস দেখিয়েছে, বুধবার জাতীয়ভাবে ট্রাম্পের চেয়ে এক দশমিক সাত শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। এই ফলাফলে দেখা যায়, হিলারির পক্ষে ৪৭ শতাংশ এবং ট্রাম্পের পক্ষে ৪৫ দশমিক তিন শতাংশ মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/৪ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-৯