২৫ এপ্রিল নিজের বাড়ির বারান্দায় বসিয়ে যত্ন করে খাইয়েছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও বিজেপি'র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। অতিথিদের সেবা-যত্নে যাতে কোন ত্রুটি না থাকে সেজন্য সর্বক্ষণ অমিত শাহের পাশে বসে তদারকি করেছিলেন বিজেপি’র দীর্ঘদিনের কর্মী গীতা মাহালি ও তার স্বামী রাজু মাহালি। সেই মাহালি দম্পতিই এবার নাম লেখালেন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল শিবিরে।
বুধবার রাজ্যটির পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন রাজু ও গীতা। তাদের হাতে তৃণমূলের ঘাসফুল পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী গৌতম দেব।
মাটিতে বসে কলাপাতায় ভাত-ডাল-পটল ভাজি দিয়ে অমিত শাহের মধাহ্নভোজনের সেই ছবি দেশের প্রতিটি সংবাদমাধ্যমেই গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। বিজেপি সভাপতির আগমনের ফলে রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছিলেন দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি এলাকার দক্ষিণ কোটিয়াজাত গ্রামের এই দম্পতি। অমিত শাহ রাজ্য সফর শেষে দিল্লি ফিরে গেলেও মাহালি দম্পত্তির বাড়িতে গণমাধ্যমের আনাগোনা ছিলই। অমিত শাহের এই মাস্টারস্ট্রোকে কিছুটা চাপে পড়ে যায় রাজ্যের শাসক দল। ফলে তারই পাল্টা হিসাবে ওই মাহালি দম্পতিকে নিজেদের দলে টেনে আনা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে মাহালি দম্পতিকে অপহরণ করে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নকশালবাড়ি থানায় বিজেপির তরফে একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয় বলে জানা গেছে।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী। তিনি জানান ‘মাহালি দম্পতি নিজেদের ইচ্ছাতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাদের ওপর কোন চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নের শরিক হয়েই তারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, আমরাও তাদের স্বাগত জানিয়েছি। অপহরণের অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই’।
মন্ত্রীর পাশে বসে চোখে পানি নিয়ে রাজু জানান ‘আজকে তৃণমূলে যোগ দিয়ে আমি খুশি। নকশালবাড়িতে দলকে আরও শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করবো। দলে যোগ দেওয়ার পর কাঁদতে দেখা যায় রাজুর স্ত্রী গীতাকেও।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ