ভারতের ৭৮০ ভাষা আবিস্কারের কৃতিত্ব দেয়া হয় গণেশ দেবীকে। মহারাষ্ট্রের শিবাজি ইউনিভার্সিটিতে পড়ার পর তিনি ব্রিটেনের লিডস ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেন। পরে গুজরাটের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজীর অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভারতের ভাষা বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য তিনি পিউপিল’স লিঙ্গুয়েস্টিক সার্ভে অব ইন্ডিয়া (পিএলএসআই) প্রতিষ্ঠা করেন।
ভাষার সন্ধানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ১৮ মাস ধরে ৩০০ বার ভ্রমণ করেছেন গণেশ দেবী। কোন কোন রাজ্যে ১০ বারেরও বেশি ভ্রমণ করেছেন। ভাষার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো অত্যন্ত যত্ন সহকারে লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি দেখেছেন, হিমালয় রাজ্যে যে ১৬টি ভাষায় কথা বলা হয়, তাতে শুধু তুষারের জন্যই রয়েছে ২০০টি শব্দ।
ভারতীয়রা ১২৫টি বিদেশি ভাষাকে তাদের মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহার করে। মহারাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে বেশ কয়েকটি গ্রামের অধিবাসীরা কথা বলে পর্তুগিজ ভাষায়। আন্দামান নিকোবর দ্বিপপুঞ্জের অধিবাসীরা মিয়ানমারের ‘কারেন’ ভাষায় কথা বলে। গুজরাটে বাস করা কয়েকজন অধিবাসী জাপানিজ ভাষাতেও কথা বলে।সাড়ে তিন হাজার বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, অধিকারকর্মী, বাস ড্রাইভার এবং যাযাবরদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেন গণেশ দেবী। ভাষার ইতিহাস ও ভূগোল বিষয়ে স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার নেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
২০১১ সালের মধ্যে পিএলএসআই ৭৮০টি ভাষা রেকর্ড করে। সংস্থাটির ১০০টি বই প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে ৩৯টি বই ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে খুঁজে পাওয়া হারিয়ে যাওয়া ভাষাও রয়েছে। এছাড়াও ৩৫ হাজার পৃষ্ঠার পান্ডুলিপি প্রকাশের জন্য যাচাই করছে সংস্থাটি।
বিডি প্রতিদিন/২৯ অক্টোবর, ২০১৭/ফারজানা