আগামী সপ্তাহেই জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মেনে নিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে ফের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
জেরুজালেমে রয়েছে মুসলিমদের একাধিক 'পবিত্র স্থান'। রয়েছে আল আকসা মসজিদ। ফলে সেই এলাকার দখল সহজে ছাড়বে না ফিলিস্তিন, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাশাপাশি ইহুদিদের কাছেও এই জায়গাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই রয়েছে ওয়েলিং ওয়াল, ডোম অব দ্যা রক'র মতো স্থান।
গত পঞ্চাশ বছর ধরেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট বুশ(সিনিয়র), বারাক ওবামা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে দুটি দেশে ভাঙার পক্ষপাতী ছিলেন। পরিকল্পনা ছিল, এক্ষেত্রে দুটি দেশেরই রাজধানী হবে জেরুজালেম। কিন্তু ট্রাম্প একেবারে উল্টোপথে হাঁটতে চলেছেন। এমনকি মার্কিন দুতাবাস ভবনটিও তেল আবিব থেকে জেরুজালমে নিয়ে আসতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা জানিয়েছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করেই সংঘাতের শুরু। ফলে এনিয়ে খুব সহজে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
পাশাপাশি ফিলিস্তিনের সংসদের সদস্য আবদুল করিম সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ওই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ফিলিস্তিন সমস্যার মধ্যস্থতাকারী থাকবে না। বরং ইসরায়েলের পক্ষে হয়ে গেছে বলেই ধরা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও এই বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের আপত্তিতে তা করে উঠতে পারেনি ওয়াশিংটন।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর