ইরাক থেকে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা ওয়াশিংটনের নেই। সেনা প্রত্যাহার নয়, ইরাকি সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য দেশটিতে অতিরিক্ত মেয়াদে মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখার ব্যাপারেও দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার বার্তা সংস্থা এপি একজন ইরাকি কর্মকর্তা সা'দ আল হাদিসির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, দ্বিপক্ষীয় এক সমঝোতার ভিত্তিতে মার্কিন সরকার ইরাক থেকে নিজের সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করেছে। এর পরই তা অস্বীকার করে পেন্টাগন বিবৃতি দেয়।
ইরাক সরকারের মুখপাত্র সা'দ আল হাদিসি মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে বলেছিলেন, কিছু দিন আগেই ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। মার্কিন সেনা কমানোর বিষয়ে ওয়াশিংটন ও বাগদাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক সমঝোতার ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের পতনের পর এ বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, ইরাক যুদ্ধে একের পর এক পরাজয় ও ব্যর্থতার কারণে ২০১১ সালে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অজুহাতে ২০১৪ সালে কথিত একটি আন্তর্জাতিক জোটের নেতৃত্বে মার্কিন সেনারা আবার ইরাকে প্রবেশ করে।
এদিকে সম্প্রতি ইরাকের আল-আনবার প্রদেশের আল-বাগদাদি এলাকায় মার্কিন বিমান হামলায় ২০ ইরাকি নাগরিক হতাহত হওয়ার পর দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি আবার জোরদার হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান