ভারত শাসিত কাশ্মীরের একটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই পুলিশের হাত থেকে এক কুখ্যাত পাকিস্তানি জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার সকালের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগরের শ্রী মহারাজা হরি সিং (এসএমএইচএস) হাসপাতাল চত্বরে। পুলিশ সূত্রে খবর, পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য মোহম্মদ নাভেদ জাট (২২)-সহ ৬ জঙ্গিকে এদিন মেডিকেল চেক-আপ’এর জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছিল। নাভেদ-কে ঘিরে রেখেছিল তিন পুলিশ কনস্টেবল। নাভেদের হাসপাতালে আসার খবর পেয়ে তাকে মুক্ত করতে হাসপাতালের পার্কি লট’এই সাধারণ মানুষের সাথেই লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরাও। নাভেদ হাসপাতালে প্রবেশের পরই পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে দুই জঙ্গি গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় হেড-কনস্টেবল মুস্তাক আহমেদ, গুরুতর আহত অবস্থায় বাবর আহমেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঘণ্টা খানেক পরে তারও মৃত্যু হয়। এই সুযোগেই তৃতীয় পুলিশ সদস্যের হাত থেকে হাতকড়া খুলে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় নাভেদ। সাত সকালে শ্রীনগরের প্রধান ও ব্যস্ততম হাসপাতালে জঙ্গি হামলার পরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগী ও তাদের পরিবারের মধ্যে। ঘটনার পরই হাসপাতালে ছুটে আসেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি (মধ্য কাশ্মীর) গুলাম হাসান ভাটসহ পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও। অন্যদিকে পলাতক জঙ্গিকে ধরতে অভিযানে নেমেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এস.পি.বেদ জানান, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে জঙ্গিরা তাদের এক সদস্যকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের ধরতে চারিদিকে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে’।
উপত্যকার হাইদারপোরায় সেনাবাহিনীর ওপর হামলা, শ্রীনগরে সিলভার স্টার হোটেলে হামলা, দক্ষিণ কাশ্মীরে পুলিশ ও সিআরপিএফ ছাউনিতে হামলাসহ একাধিক নাশকতার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল পাকিস্তানের মুলতানের বাসিন্দা নাভেদ জাট ওরফে আবু হানজালা। ২০১৪ সালের ২৬ আগস্ট দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম এলাকা থেকে নাভেদ-কে আটক করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব