মালদ্বীপে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। দেশটিতে চলমান পরিস্থিতিতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মালদ্বীপ সরকারের পক্ষে সেদেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করাটা খুবই বিরক্তের এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে আটক করাটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘১ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সর্বসম্মত আদেশ-কে অগ্রাহ্য করার ঘোষণা দেওয়ার পরই মালদ্বীপে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা এবং মালদ্বীপের সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ভঙ্গের ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয় ‘সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনাটিও উদ্বেগের’।
মালদ্বীপ সফরে ভারতীয় নাগরিকদেরও সতর্ক করে বলা হয়েছে তারা যেন অপ্রয়োজনে মালদ্বীপের রাজধানী মালে বা অন্য শহরগুলিতে না বের হন।
উল্লেখ্য গত ১ ফেব্রুয়ারী দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সাথে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ’এর বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের বিচারকেও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। পাশাপাশি বহিষ্কৃত ১২ জন আইন প্রণেতাকে স্বপদে ফেরানোর আদেশও দেয় আদালত। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের সরকার সর্বোচ্চ আদালতের সেই আদেশ অগ্রাহ্য করে পার্লামেন্ট স্থগিত করে।
এমন অবস্থায় ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটিতে তৈরি হয় রাজনৈতিক সঙ্কট। সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে মালদ্বীপে রাজনৈতিক অস্থিরতা সামাল দিতেই গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করে আবদুল্লা ইয়ামিনের সরকার। জরুরি অবস্থা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবদুল্লা ইয়ামিন-এর নির্দেশে সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি আবদুল্লাহ সাইদ ও বিচারপতি আলি হামিদ-কে আটক করে সেদেশের পুলিশ।
এর আগে মালদ্বীপের চলমান এই রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ভারতের মধ্যস্থতার দাবি জানিয়েছেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদ।
বিডি প্রতিদিন/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল