মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিং যাওয়ার উদ্দেশে ১২ জন ক্রু ও ২২৭ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করেছিল বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআরএ প্লেনটি। উড্ডয়নের ঘণ্টাখানেক পড়েই এটি আকাশে হারিয়ে যায়।
২০১৪ সালের ৮ মার্চের এ ঘটনায় হারিয়ে যাওয়া ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ এর রহস্য এখনও পর্যন্ত কাটেনি। অবশেষে আর কোনো খোঁজ না পেয়ে বেসরকারি অর্থায়নে শুরু করা অনুসন্ধানও বন্ধ হয়ে গেছে।
ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অনুসন্ধান তৎপরতা অব্যাহত ছিল। ফ্লাইটটির সন্ধানে ৯০ দিনের জন্য ভারত মহাসাগরের দক্ষিণের ৪৬ হাজার ৩০০ মাইল গভীরে একটি বিশাল এলাকায় জাহাজ নিয়ে অভিযান চালিয়েছিল মার্কিনভিত্তিক কোম্পানি ‘ওশিন ইনফিনিটি’। কিন্তু তারা এটির খোঁজ পায়নি এবং মালয়েশিয়া সরকার বলছে, এর অনুসন্ধান সমাপ্ত, এ নিয়ে আর নতুন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ কারারও পরিকল্পনা নেই।
প্লেনটিতে চীনা যাত্রী ছিলেন ১৫৩ জন এবং ৩৮ জন মালয়েশিয়ান। এছাড়াও ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, ইউক্রেন, রাশিয়া, তাইওয়ান এবং নেদারল্যান্ডস-এর যাত্রী ছিলেন এ ফ্লাইটে। আর ১২ জন ক্রু যারা সবাই মালয়েশিয়ারই ছিলেন।
এ বিষয়ে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, সম্ভবত ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে প্লেনটি আকাশ থেকে পড়ে যায় এবং এর যাত্রীরা কেউ বেঁচে নেই।
বিমানটি হারিয়ে যাওয়ার পর ভারত মহাসাগরের কিছু অংশ তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান পরিচালনা করেছে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে বহুজাতিক উদ্ধারকারী দল। তবে সে স্থানে কোনো ধ্বংসস্তূপ পাওয়া যায়নি। সাগরের গভীরেও কিছু পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে অধিকাংশ অনুসন্ধানও বন্ধ হয়ে গেছে। অবশ্য বিমানটির ধ্বংসাবশেষ মহাসাগরের সম্ভাব্য ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানে পাওয়া না গেলেও ফ্রান্সের রিউনিয়ন দ্বীপসহ বেশ কিছু জায়গায় ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে পাওয়া গেছে একটি প্লেনের ধ্বংসাবশেষ, যা এমএইচ-৩৭০ এর নিখোঁজ হওয়ার রহস্য উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার