সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার প্রমাণ মুছে ফেলছে সৌদি তদন্তকারীরা- এমনটি দাবি করেছে তুরস্ক। সম্প্রতি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে খাশোগিকে খুনের ঘটনায় হত্যার তদন্ত করতে তুরস্কে এসেছে সৌদি তদন্তকারীরা। কিন্তু তারা সুষ্ঠু তদন্ত না করে এই হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ মুছে ফেলছে বলে অভিযোগ করেছে তুরস্ক। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমস।
এ ব্যাপারে এক তুর্কি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খাশোগি হত্যার নয় দিন পর তদন্তে সহযোগিতা করতে সৌদির ১১ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল তুরস্কে আসে। তারা যৌথ তদন্তের নাম করে উল্টো হত্যার প্রমাণ ধ্বংস করছে। তিনি জানান, সৌদির ওই তদন্তকারী দলে দুজন কেমিস্ট ও টক্সিওলোজি বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তারাই হত্যার প্রমাণ মুছে ফেলার কাজটি করছেন।
এদিকে, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ১৮ ব্যক্তিকে তুরস্কের কাছে হস্তান্তরের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সম্প্রতি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রাদেশিক নেতাদের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, সৌদি আরবে আটক ১৮ জনের মধ্যেই খাশোগির খুুনি রয়েছে বলে মনে হয়। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে চাইলে আটক ব্যক্তিদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। খাশোগির মরদেহ কোথায় রয়েছে তা জানাতেও সৌদির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সৌদির খ্যাতনামা সাংবাদিক খাশোগি। শুরু থেকে তুরস্ক দাবি করছিল, খাশোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতর সৌদি ঘাতক টিমের সদস্যরা হত্যা করেছে এবং তার লাশ টুকরো টুকরো করে কোথাও ফেলে দিয়েছে।
গত বছর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর থেকে রোষানলে পড়েন ৫৯ বছর বয়সী খাশোগি। তিনি দেশ ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট-এ যুবরাজের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে একের পর এক কলাম লিখেছিলেন খাশোগি। অভিযোগ রয়েছে, যুবরাজের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হত্যা সংঘটিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে মরদেহ হস্তান্তরের দাবি উঠেছে। তার স্বজন ও বন্ধুরা বলেছেন, আমরা খাশোগির লাশ চাই। তাকে দাফন করব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার