ভারতের তিরুঅনন্তপুরম থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-২৪৫৫ উড়োজাহাজে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন দেশটির অন্যতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ কেসি বেণুগোপাল। রবিবার (১০ আগস্ট) চলন্ত বিমানে বসেই তিনি তার এক্স হ্যান্ডলে বিস্তারিতভাবে ঘটনাটি শেয়ার করেছেন।
বেণুগোপাল তার এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, তিরুঅনন্তপুরম থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়া (এআই-২৪৫৫) বিমানটি তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পর ছেড়েছিল। ছাড়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই বিমানে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ওড়ার পর পাইলট সিগন্যালে ত্রুটির কথা ঘোষণা করেন। এর পরেই আমাদের বিমানটিকে চেন্নাই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। জরুরি অবতরণের আগে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে আমাদের বিমানটি চেন্নাই বিমানবন্দরের আশপাশে ঘুরতে থাকে। যেই রানওয়েতে আমাদের বিমান নামানোর কথা ছিল, সেখানে আর একটি বিমান থাকায় মাঝ-আকাশে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
বেণুগোপাল আরও লেখেন, ক্যাপ্টেনের জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্তে বিমানে থাকা সব যাত্রী নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এ বারে কপালজোরে আমরা বেঁচে গিয়েছি, কিন্তু প্রতি বার যাত্রীদের নিরাপদ এবং সুরক্ষা ভাগ্যের ওপর ছাড়া ঠিক নয়। আমার অনুরোধ, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান সংস্থা যেন তৎপর হয়। এবং যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করা হোক।
তিনি আরও জানান, ওই বিমানে তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন সাংসদ এবং বহু সাধারণ যাত্রী ছিলেন। এই ঘটনার পর সবাই আতঙ্কিত। বিমানটিতে বেণুগোপাল ছাড়াও ছিলেন ইউডিএফের আহ্বায়ক আদুর প্রকাশ, প্রবীণ দুই কংগ্রেস নেতা কোডিকুনিল সুরেশকে ও কে রাধাকৃষ্ণণ এবং তামিলনাড়ুর সাংসদ রবার্ট ব্রুস।
বেণুগোপালের পোস্টের পর এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়- যান্ত্রিক ত্রুটি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমানের গতিপথ চেন্নাইয়ের দিকে করা হয়েছিল। এই বিমানবন্দরে প্রথমবার অবতরণের চেষ্টা করলে এটিসি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলে। তবে, সেই সময়ে রানওয়তে অন্য কোনো বিমান ছিল না বলে দাবি সংস্থার।
বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়- এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমাদের সুপ্রশিক্ষিত পাইলটেরা বিমানে সব সময়ে ‘যথাযথ’ পদ্ধতি মেনে চলেছেন। আপনার এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। তবে নিরাপত্তাই আমাদের অগ্রাধিকার।
সূত্র- আনন্দবাজার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ