কাশ্মীরজুড়ে এখন বিরাজ করছে চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। এর মধ্যে, গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় জম্মু-কাশ্মীরের দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত থেকেই গৃহবন্দী ছিলেন তারা। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হলো তাদের। এ ছাড়া বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সাজ্জাত লোনকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত সপ্তাহে যখন জঙ্গি নাশকতার আতঙ্ক ছড়িয়েছিল উপত্যকা জুড়ে, সেই সময়ে প্রচুর পরিমাণ ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়। ওই সময়ে সেনা মোতায়েন নিয়ে সরব হয়েছিলেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা। ইতিমধ্যে ফারুক আবদুল্লাহ-পুত্র ওমরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কর্টে যাবে তার পার্টি। মনে করা হচ্ছে, এরা মুক্ত থাকলে নতুন করে আন্দোলনের আঁচ পড়তে পারে কাশ্মীরে। তাই এই গ্রেফতার।
গত কয়েক দিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতেই রেড অ্যালার্ট জারি করে দেওয়া হয় গোটা উপত্যকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় অমরনাথ যাত্রা। ভারতীয় বিমানবাহিনীর সহায়তায় ফিরিয়ে আনা হয় তীর্থযাত্রীদের। পর্যটকদের নির্দেশ দেওয়া হয় কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাওয়ার। ৩৮ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয় সমগ্র জম্মু ও কাশ্মীরে। এ দিন আরও আট হাজার সেনা পাঠানো হয় উপত্যকায়।
তারপর থেকেই ইঙ্গিত মিলছিল সরকার কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্যাবিনেটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রস্তাব করেন ৩৭০ ধারা বিলোপের। তা পাশও হয়ে যায় মোদির মন্ত্রিসভায়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের ড্রাফট চলে যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে। তাতে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। খবর দ্য ওয়াল এর।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক