কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। একইসঙ্গে কাশ্মীর থেকে ভেঙে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে লাদাখকে। দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। একই সঙ্গে বদলে গেছে ভারতের মানচিত্রও। ১৯৯৯ সালের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের কার্গিল জেলায় ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘটিত ঐতিহাসিক স্থানটিসহ লাদাখ এখন জম্মু-কাশ্মীর থেকে আলাদা হয়ে গেছে।
নিউজ এইটটিনের খবর, জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। দিল্লির মতো জম্মু-কাশ্মীরে থাকবে বিধানসভা। তবে লাদাখে তা থাকবে না। কেন্দ্রের নতুন সিদ্ধান্তে ভারতের মানচিত্রে ২৯ রাজ্য ও ৭ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তালিকায় যুক্ত হলো নতুন দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম। ফলে বর্তমানে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা দাঁড়াল ৯-এ। এতদিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তালিকায় নাম ছিল দিল্লি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, চন্ডীগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি, দমন ও দিউ, লাক্ষাদ্বীপ এবং পুডুচেরি।
এদিকে, কাশ্মীর থেকে কার্গিল আলাদা হয়ে লাদাখে যুক্ত হয়েছে। তবে এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে থাকবে বিধানসভা। লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তা থাকবে না। তবে এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে থাকবেন উপরাজ্যপাল। বিধানসভা রয়েছে এমন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা এখন দুই। পুডুচেরি এবং দিল্লি। আর বিধানসভা নেই এমন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে পাঁচটি- চন্ডীগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি, দমন ও দিউ, লাক্ষাদ্বীপ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব