গরু এখন আর শুধু গবাদি পশু নয়, ভারতের ঘরোয়া রাজনীতিতে বহু যত্নে লালিত পশুও বটে! তাকে সামনে রেখে রক্তক্ষয়, গণপিটুনি, পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি এসব কিছুই ইদানীং বাদ যায়নি। আজ বুধবার সেই গরু প্রসঙ্গ ফের তুলে আনলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, গরুর নাম শুনলেই কিছু লোকের এখন শক লাগে। গরু, ওম... এ সব শব্দ শুনলে কারও কারও এ রকমই হচ্ছে দেখছি।
পশু রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নিয়ে এক সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন মোদি। সেখানে তিনি আরও বলেন, কিছু লোককে দেখছি গরুর নাম শুনলেই চুল খাড়া হয়ে যায়। যেন শক লেগেছে! অথচ ভারতের অর্থনীতিতে গরুর ভূমিকা কম নয়। প্রকৃতি, প্রাকৃতিক সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্য রেখেই আমাদের এগোতে হবে।
মোদির এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, এমন নয় যে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গল গ্রহ থেকে গরু নিয়ে এসেছেন। সেই কবে থেকে গরু ভারতীয় অর্থনীতির অঙ্গ। শিশুরাও তা জানে। কিন্তু গরুর মতো একটা নিরীহ প্রাণী কখনও এ দেশে সামাজিক বিভাজনের প্রতীক হয়ে ওঠেনি যা এখন হচ্ছে। এটাই দুর্ভাগ্যজনক। উত্তরপ্রদেশের মথুরায় একটি পশুরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই উপলক্ষেই এ দিনের অনুষ্ঠান ছিল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।
প্রধানমন্ত্রী জানান, পশুরোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির জন্য কেন্দ্র রাজ্যগুলোকে একশো শতাংশ অনুদান দেবে। এ জন্য ১২ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রের সরকার। কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল গবাদি পশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া। গরু, মোষ, ভেড়া, ছাগল, শুয়োরের আকছার ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ হচ্ছে। এ সব রোগ থেকে তাদের বাঁচাতেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সূত্র : দ্য ওয়াল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক