কানাডার জনগণ কনজারভেটিভকে বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করেনি। লিবারেল পার্টি এবং জাস্টিন ট্রুডোকে নিয়ে নানা সমালোচনা সত্ত্বেও তারা আরো এক মেয়াদের জন্য ট্রুডোর হাতেই কানাডার শাসনভার ন্যস্ত রাখাটাকেই ভালো মনে করছেন।
কানাডিয়ানরা লিবারেল পার্টি এবং জাস্টিন ট্রুডোর উপরই এতোটা আস্থা রাখলেন কেন? নির্বাচনের আগে আগে এসএনসি লাভালিনের কেলেঙ্কারিইতো ট্রুডোকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলো। মন্ট্রিয়লের ‘স্পন্সরশীপ কেলেঙ্কারির’ ধাক্কায় কানাডায় লিবারেলের ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছিলো। পল মার্টিনকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলো কানাডিয়ানরা। কিন্তু এসএনসি লাভালিনের কেলেংকারি সত্ত্বেও জাস্টিন ট্রুডোকে তারা আরেক মেয়াদ সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সেটি সম্ভবত এন্ড্রু শিয়ারের ‘অশোভন’ আচরণকে জনগণ গ্রহণ করেনি। বক্তৃতা বিবৃতি এমন কি বিতর্কেও এন্ড্রু শিয়ারের অবস্থান ছিলো অত্যন্ত কর্কশ এবং শালীনতা বিবর্জিত। সমর্থক পর্যায়েও অনেকস্থানে কনজারভেটিভদের ব্যবহার ছিলো অত্যন্ত ঔদ্যত্বপূর্ণ, কর্কশ- যা কানাডিয় সংস্কৃতির পরিপন্থী।তবে লিবারেলকেও যে একেবারে ছেড়ে দিয়েছে তা নয়। ট্রুডোর বিকল্প নেতা না থাকায় জনগণকে ট্রডোর কাছেই ফিরে আসতে হয়েছে। তবে তাকে নিয়ন্ত্রিতও করে দিয়েছে। ‘মেজোরিটি’ থেকে ট্রুডোকে ডিমোশন দিয়ে ‘মাইনরিটি’ করে দেয়া হয়েছে। এটাই তো তার জন্য বড় শিক্ষা, বড় বার্তা। তার রাজনৈতিক পরিকল্পনা, কর্মসূচী অনুমোদনের জন্য তাকে অন্যের কাছে ধর্ণা দিতে হবে। ‘মেজোরিটি থেকে মাইনরিটি’তে পদাবনতি- এই বার্তাটা জাস্টিন ট্রুডোকে বুঝতে হবে। বিগত চার বছরে তার অনেক পদক্ষেপ, অনেক কর্মসূচীই জনগণ পছন্দ করেনি, পছন্দ করেনি বলেই তার হাত পা বেঁধে দেয়া হয়েছে- এই বার্তাটা জাস্টিন ট্রুডো নিশ্চয়ই বুঝতে সক্ষম হবেন।
জাস্টিন ট্রুডো এবং লিবারেল পার্টিকে অভিনন্দন জানাই। অভিনন্দন জানাই কানাডার জনগণকে, প্রাজ্ঞ এবং যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। ভোটাধিকার থাকলে জনগণ কখনই ভুল সিদ্ধান্ত নেয় না।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন