স্ত্রীর দাঁতগুলো বাঁকা। আর সেই কারণে স্ত্রীকে তিন তালাক দিল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হায়দরাবাদে। রুকসানা বেগম নামের ঐ তালাকাপ্রাপ্ত নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রুকসানার অভিযোগ স্বামী মুস্তাফাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিয়ের পর থেকে পণের জন্য অত্যচার চালায়। চলতি বছরেই ২৭ জুন বিয়ে হয় মুস্তাফা–রুকসানার। তারপরই শুরু হয় তার উপর অত্যাচার। গত ১২ অক্টোবর স্ত্রীকে তিন তালাক দেয় মুস্তাফা। রুকসানার দাবি ফোনেই নাকি মুস্তাফা জানায়, দাঁত বাঁকা। এই স্ত্রীর সঙ্গে ঘর করা সম্ভব নয়। এরপর ফোনেই তিন তালাক দেয় মুস্তাফা।
এ ঘটনায় ঐ নারী বলেছেন, ‘বিয়ের সময় মুস্তাফা ও তার পরিবার অনেক কিছু দাবি করেছিল। সবকিছুই দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে পণের জন্য শুরু হয় অত্যাচার। বাবারবাড়ি থেকে সোনা ও নগদ টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। মুস্তাফা বিয়ের পর আমার ভাইয়ের থেকে একটি মোটরবাইকও নিয়েছিল। কিন্তু অত্যাচার থামেনি।
এমনকি আমাকে মুস্তাফা জানায়, আমার দাঁত বাঁকা। তাই পছন্দ করে না। আমার সঙ্গে ঘর করবে না। তারপর শ্বশুরবাড়িতে আমাকে ১৫ দিন আটকে রাখা হয়। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমাকে বাবারবাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানানোর পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার কথা বলে। আমাকে শ্বশুরবাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু ১ অক্টোবর আমার বাবারবাড়ি এসে মুস্তাফা বলে যায় আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে না। আমার মা–বাবাকেও অপমান করে। এরপর ১২ অক্টোবর আমাকে ফোনেই তিন তালাক দেয়।’
এরপর গত ২৬ অক্টোবর স্থানীয় থানায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন রুকসানা বেগম। তিনি এই ঘটনার ন্যায় বিচার চেয়ে, তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের শাস্তি দাবি করেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক