থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহা, যা বিশ্বব্যাপী আলোচিত। এই গুহাটি আলোচনায় আসে ২০১৮ সালের ২৩ জুনের পর থেকে। কেননা, ওই দিন ওই গুহায় দেশটির ১২জন কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ নিখোঁজ হয়।
পরবর্তীতে শ্বাসরুদ্ধর অভিযানের মধ্যে দিয়ে তাদের সবাইকে সফলভাবে উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে পর্যটকদের জন্য বন্ধ ছিল গুহাটি। তবে সম্প্রতি আবারও এটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গুহার মুখ খুলে দেওয়ার মাধ্যমে এতে প্রবেশ করার অনুমতি পান পর্যটকরা। এর মধ্যে দিয়ে ১৬ মাসেরও বেশি সময় পর গুহায় পা পরে প্রশাসনের বাইরের মানুষদের। খবর ব্যাংকক পোস্ট, বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন প্রায় দুই হাজার পর্যটক গুহায় প্রবেশ করেন। এজন্য ঘণ্টাব্যাপী লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষাও করেন তারা। বিগত প্রায় ১৬ মাসে ১০ লাখেরও বেশি পর্যটক গুহাটিতে বেড়াতে আসেন। তবে তাদের কাউকেই গুহার ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এবার সেটি আবার খুলে দেওয়ার পর প্রতিবার একত্রে ২০ জন পর্যটক গুহার প্রথম চেম্বারটিতে যেতে পারবেন।
২০১৮ সালে গুহাটিতে বেড়াতে যায় দ্য ওয়াইল্ড বোরস নামের স্কুল শিক্ষার্থীদের একটি ফুটবল দল। এসময় তাদের সঙ্গে ফুটবল কোচও ছিলেন। কিন্তু গুহার ভেতরে এক প্রাকৃতিক বন্যায় ভেসে গিয়ে অনেক ভেতরে আটকা পড়েন তারা।
পরবর্তীতে ১৭ দিনের মাথায় প্রায় ৯০ সদস্য বিশিষ্ট এক ডুবোরি দল তাদের উদ্ধার করেন। উদ্ধারকর্মীদের মাঝে থাইল্যান্ড ছাড়াও বিদেশি কয়েকটি রাষ্ট্রের সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে থাই নেভির সাবেক সদস্য সামান গুনান নিহত হন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম