কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও আল্লামা ইকবাল যেভাবে পাকিস্তান গড়তে চেয়েছিলেন, ঠিক সে রকম একটি দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন ইমরান খান বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী জমিয়তে উলামা-ই-ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান।
শনিবার সমর্থকদের সামনে দেয়া এক ভাষণে একটি ব্যর্থ পররাষ্ট্রনীতির জন্য তিনি ক্ষমতাবান শাসকদের কড়া সমালোচনা করেন।
পাকিস্তানের স্থায়ী বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রও জাতিসংঘে দেশটিকে সমর্থন দেয়নি বলে অভিযোগ করে মাওলানা বলেন, ইমরান খানের বোকামির জন্য পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভারত আপনার শত্রু, আফগানিস্তান ও ইরানও ক্ষেপে আছে। চীনারা হতাশ। আপনি এখন কোথায় দাঁড়িয়ে? আপনার পররাষ্ট্র নীতি কি?
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকায় ভারত খুশি হয়েছে জানিয়েছে বলে ওই আলেম বলেন, তার কারণেই ভারত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিতে পেরেছে।
এদিকে নিজেদের ঘর থেকেই নারীরা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা যাতে সফল হই, সে জন্য তারা রোজা রেখে আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন। এছাড়া পার্লামেন্টেও আমাদের নারীরা রয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগ দাবিতে আজাদি মার্চে নারীদের অংশগ্রহণ নেই বলে যে প্রশ্ন তুলেছে একটি নির্দিষ্ট মহল এভাবেই তার জবাব দিয়েছেন মাওলানা ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, প্রতিটি সমাজের একটা নিজস্ব নিয়ম ও মূল্যবোধ রয়েছে। কাজেই বিক্ষোভে অংশ নিতে কোনো নারীকে নিষেধ করা হয়নি।
বিবিসির উর্দু প্রতিবেদকরা বলেছেন, শুক্রবার জেইউআই-এফ এর গাড়িবহরে কোন নারী ছিল না। এর আগে আরো পাঁচ দিন ধরে পাকিস্তানজুড়ে চলছে গাড়ি বহরের এই বিক্ষোভ।
এই আলেম রাজনীতিবিদ বলেন, নারী সাংবাদিকরা আমাদের কর্মসূচির খবর ভালোভাবেই সংগ্রহ করতে পারছেন। এক্ষেত্রে তাদের ন্যূনতম বাধার মুখে পড়তে হয়নি।
বিবিসির খবর জানায়, বিক্ষোভে নারীরা ছিলেন না, এটা ভুল করে হয়নি। আজাদি মার্চের জন্য যে প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছিল, তাতে নারীদেরকে বিক্ষোভে না এসে বরং ঘরে থেকে রোজা রাখতে ও দোয়া করার কথা বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম