পিয়াজের বাজারে চলছে অস্থিরতা। দেশের কোথাও কোথাও ট্রিপল সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছে এর দাম। এখনও আমদানি করা পিয়াজ ১০০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সরকার ৪৫ কেজিতে টিসিবির মাধ্যমে পিয়াজ বিক্রির করছে।
দেশে পিয়াজের বাজারে এই অস্থিরতা শুরু হয় ভারত পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে। ফলে অনেকেই পিয়াজের বাজারের এই অস্থিরতার জন্য ভারতকেই দায়ী করে থাকেন। কিন্তু তারা কি জানেন ভারতে পিয়াজের বাজারের অবস্থা কী?
ভারতেও পিয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে! তবে আমরা এই মূল্য বৃদ্ধি মেনে নিলেও ভারতের সাধারণ মানুষ কিন্তু বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করছেন। কেউ স্বর্ণের দোকানে কাচের ভিতর পিয়াজ রাখছেন, কেউ বন্ধুর বিয়েতে পিয়াজ উপহার দিচ্ছেন। এবার উত্তর প্রদেশের একদল লোক ঋণ হিসেবে পিয়াজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভারতের কোনও জায়গায় ১০০ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে না পিয়াজ। কোথাও কোথাও তো প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ১২০ টাকাও হয়ে গেছে।
উত্তর প্রদেশের বারাণসিতে এবার ঋণ হিসেবে মিলছে পিয়াজ। তবে তার জন্য জমা রাখতে হচ্ছে আধার কার্ড।
আধার কার্ড হলো ভারত সরকারের Unique Identification Authority of India দ্বারা প্রদত্ত প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের জন্য একটি বিশেষ নম্বর যুক্ত পরিচয় পত্র। এই কার্ড নাগরিকের পরিচয় ও ঠিকানার প্রমাণপত্র। তবে কেউ যদি কার্ড জমা না দিতে চান তাহলে রুপার গহনা জমা দিলেও হবে।
সাধারণ মানুষ যাতে পিয়াজ পেতে পারে সেজন্য বারাণসিতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সেখানকার সমাজবাদী পার্টির যুব শাখা।
সমাজবাদী পার্টি কর্মীরা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আধার কার্ড জমা রেখে বা রুপার গহনা বন্ধক রেখে পিয়াজ দেওয়া হচ্ছে।’
অভিনব এই উদ্যোগ এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। কারণ উত্তর প্রদেশে পেঁয়াজের মূল্য এর আগে কখনো এত বেশি হয়নি। সেখানে বর্তমানে পেঁয়াজ কেজিতে ১০০ রুপি ছাড়িয়েছে।
সমাজবাদী দলের কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের উদ্যোগ বৃথা যায়নি। মানুষ বুঝতে পারছে কেন এই কাজ আমরা করেছি। পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে তাদের পক্ষ থেকে এমন প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।
সূত্র: আজকাল, ওয়ান ইন্ডিয়া
বিডি প্রতিদিন/কালাম