করোনাভাইরাসে আতঙ্ক গোটা বিশ্বে। এই মরণঘাতী ভাইরাস মোকাবেলায় কার্যত অসহায় চীন। চীনে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এ ভাইরাসটিতে একদিনে নতুন করে আরও দেড় হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে শনাক্তস্থল হুবেই প্রদেশেই এক হাজারের বেশি। ফলে এ ভাইরাসে চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৭১১ জনে।
করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্ষম চীনা চিকিৎসকরা। এদিকে, করোনা আতঙ্কের আঁচ ভারতেও পড়েছে। কড়া নজরদারি, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের বিচ্ছিন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থা ছাড়া আরও কোনো পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা মোকাবেলায় উপযুক্ত ওষুধ তাদের হাতে রয়েছে। ভ্যাকসিন বা অ্যালোপ্যাথি ওষুধ নয়, হোমিওপ্যাথিতেই করোনা প্রতিরোধ করা যাবে।
ভারতের আয়ুর্বেদিক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়। করোনা আক্রান্তের উপসর্গ সারানোর জন্য ইউনানি ওষুধ অত্যন্ত কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। এ জন্য একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়। কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এমন কী ওষুধ খেতে হবে, তা-ও বলা হয়েছে।
আয়ুর্বেদিক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আরসেনিকাম অ্যালবাম ৩০ (Arsenicum album 30) এই ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম।
এদিকে, আয়ুর্বেদিক মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশিকায় তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চিকিৎসাশাস্ত্রে হোমিওপ্যাথি কতটা ‘বিজ্ঞানসম্মত’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ পরামর্শ দেন ইউনানি মেডিসিন পড়ুয়াদের আগে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়া উচিত। করোনার মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর ভাইরাস মোকাবেলায় আদৌ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রযোজ্য কিনা তা এখনও প্রমাণ হয়নি। গবেষণা না করেই সরকারের তরফে এমন নির্দেশিকায় বিভ্রান্তি তৈরি হতে বলে মনে করছেন অনেকেই। সূত্র: জিনিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন