প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড গোটা বিশ্ব। রেহাই পায়নি স্পেনও। মহামারি এই ভাইরাসে দেশটিতে একদিনে নতুন করে আরও ৪৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ২৭৫ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার।
অন্যদিকে ইউরোপের আরেক দেশ পর্তুগালেও মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছেন ৯৭৩ জনে। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। নতুন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমতে শুরু করলেও অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
পর্তুগাল ও স্পেনে করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা গেলেও মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা এখনও ওঠা-নামা করছে। দুইটি দেশে এখনও রয়েছে লকডাউন। তবে ২ মে থেকে পর্তুগালের লকডাউন উঠিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রিবেলো ডি সুজা।
এদিকে সবকিছু স্বাভাবিক হবে না সেটিরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কোস্টা।
পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কোস্টা বলেন, লকডাউন উঠিয়ে নেয়া হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নাগরিকদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
পর্তুগালে চতুর্থ দফা লকডাউন শুরু হলেও কিছু নিয়মের শিথিলতা আনা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা মধ্যে অন্তত এক ঘণ্টার জন্য শিশুদের নিয়ে বাবা-মাকে বাহিরে বের হয়ে হাঁটাচলা করতে হবে।
এদিকে অব্যাহত রয়েছে সীমান্তে কড়াকড়িসহ নানা পদক্ষেপ। এতে নতুন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমতে শুরু করলেও অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। এরমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশগুলো সরকার।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম