করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সতর্ক অবস্থার কোন বালাই নেই। ভাইরাস সতর্কতায় এক সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ মেডিকেল টিম বসানো হলেও দায়সারা কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে কাগজে কলমে মেডিকেল টিমের সদস্য থাকলেও সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পাসপোটধারী যাত্রী ও ভারত থেকে আসা ট্রাকের ড্রাইভাররা কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই দুই দেশে যাতায়াত করছেন। সোনামসজিদে বিজিবির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম চালালেও স্বাস্থ্য বিভাগের তেমন তৎপরতা নেই। তবে সিভিল সার্জন দায়সারা বক্তব্যে বলছেন, সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। জানা গেছে, আবারো সারাদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেওয়ায় দেশের বিভিন্ন সীমান্তের মত সীমান্তবর্তী উত্তরের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সূত্রমতে, এই ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ জন পাসর্পোটধারী যাত্রী যাতায়াত করছেন। তবে ইমিগ্রেশন যাত্রীরা বলেন, সোনামসজিদ বা ভারতের মহদিপুর চেকপোস্টে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না বা প্রাথমিকভাবে কোন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে না। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কোভিড-১৯ পরীক্ষা কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষার ব্যানার টাঙ্গানো থাকলেও কোন স্বাস্থকর্মীকে দেখা যায়না। অন্যদিকে এখানে স্থলবন্দর হওয়ায় প্রতিদিন ভারত থেকে ৩শ থেকে ৪শ ট্রাক ড্রাইভার যাতায়াত করছে কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই। ফলে বন্দরটি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। স্থানীয়দের দাবি, সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের জন্য দুই দেশের যাত্রী ও ট্রাক ড্রাইভার-হেলপারদের গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হোক। এব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম শাহাব উদ্দীন বলেন, সোনামসজিদে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে এবং সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী না থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে জানার পর প্রতিদিনের রিপোর্ট শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচওর মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ