সৌদি আরব এবার ইয়েমেনে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি ও রাজনৈতিক সমঝোতা চুক্তিসহ নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ গতকাল সোমবার এক ঘোষণায় ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদেরকে এ প্রস্তাব দিয়েছেন।
ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যদি হুথি বিদ্রোহীরা উদ্যোগের শর্তগুলো মানতে সম্মত হয়, তাহলে সৌদি আরবও জাতিসংঘ-পর্যবেক্ষণাধীন দেশটিতে (ইয়েমেন) যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। তবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইয়েমেনিরা।
ছয় বছর আগে ২৬ মার্চ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ভয়াবহ ও অসম যুদ্ধ শুরু করে। এতে এ পর্যন্ত ইয়েমেনের হাজার হাজার নিরীহ মানুষ, ঘরবাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশটিতে এখন দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে। তারপরও সৌদি সরকার এখন পর্যন্ত ইয়েমেনিদেরকে নতজানু করতে পারেনি।
এর মধ্যে সৌদি আরব ছয় বছর পর কেন যুদ্ধবিরতি চাইছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পার উত্তরে দুটি কারণের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রথমত, সৌদি আরব তাদের সবচেয়ে বড় মিত্র অর্থাৎ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে অত্যন্ত চাপের মধ্যে আছে। কারণ পাশ্চাত্যের পক্ষ থেকে শক্ত সমর্থন ছাড়া সৌদি আরবের পক্ষে কোনো যুদ্ধই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
আর দ্বিতীয়ত, ছয় বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে সৌদি সরকার এটা বুঝতে পেরেছে যে, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া সহজ কাজ হবে না। তা ছাড়া ইয়েমেনিরা এতো দিন ধরে হামলার শিকার হলেও এখন তারা সৌদি আরবের রিয়াদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পাল্টা হামলা চালানো শুরু করেছে। ফলে সৌদি আরবের যুদ্ধের ব্যয়ভার অনেক বেড়ে গেছে।
সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক