২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জন্য বহুল পরিচিত হয়ে উঠেন আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন। এরপর ২০১১ সালের মে মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি বিশেষ দলের পাকিস্তানে অভিযানে মারা যান তিনি।
যেই লাদেন ইসরায়েলকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করতেন সেই লাদেনের কনিষ্ঠ পুত্র ওমর তার মরহুম বাবার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি এখন ইসরায়েল ভ্রমণ করতে চান। ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহাওনোথের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি তার এই পরিকল্পনার কথা জানান।
ওমর ওই পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি ইসরায়েল সফর করার পরিকল্পনা করছেন। কারণ, তিনি তার মরহুম বাবার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।’
ওমর এখন ফ্রান্সে বসবাস করছেন। তিনি জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তার ইসরায়েল সফরের পরিকল্পনা আছে। তার স্ত্রীর পরিবার ইহুদি। ওমর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ারও স্বপ্ন দেখেন জানিয়ে বলেন, ‘আমরাতো বিশ্বাস করি যে, সারা বিশ্বকে একসঙ্গে বসবাস করতে হবে এবং প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিতে একে অপরের সঙ্গে বাস করতে পারবে।’
তাকে কীভাবে ‘বড়’ করা হয়েছে, সে বিষয়েও তিনি বিস্তারিত প্রকাশ করেন। তিনি জানান, আল-কায়েদার প্রধান হিসেবে তার বাবার কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার প্রত্যাশা তার ছিল কিন্তু তাকে সে দায়িত্ব দিতে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
ওমর বলেন, ‘আমার বাবা নিজের ছেলেদের যতটা ভালোবাসতেন তার চেয়ে বেশি ঘৃণা করতেন নিজের শত্রুদের। আমি যে জীবন নষ্ট করেছি তার জন্য নিজেকে নির্বোধ মনে হয় এবং আমি জানতাম যে আমি এসব ছেড়ে চলে যাচ্ছি, এবং খুব শিগগিরই চলে যাচ্ছি। আমাকে এবং আমার ভাইদের বলা হয়েছিল তোমাদের শহীদ হওয়া উচিত।’
বাবার অপরাধের জন্য তিনি বাবাকে কি পরিমাণ ‘ঘৃণা’ করতেন এবং কেমন ‘ভয়’ পেতেন তাও তিনি জানান।
সূত্র : দ্য নিউ আরব, দ্য গাজা পোস্ট
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ