গত ৩০ আগস্ট আফগানিস্তান ছাড়ার আগে মার্কিন কর্মকর্তারা কাবুলে সকল সামরিক সরঞ্জাম, যানবাহন ও নথিপত্র ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে তালেবান। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) কাবুলে সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) সাবেক বৃহত্তম অপারেশনাল সেন্টারের দরজাগুলো খুলে বিধ্বস্ত পরিস্থিতি দেখতে পায় তারা। খবর রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড'র।
কাবুলের দেহ সাব এলাকার অবস্থিত 'ঈগল' নামের কেন্দ্রটিতে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও আফগান এনডিএস -১ বাহিনীর কর্মকর্তারা অবস্থান করতেন। ক্যাম্পটি এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তালেবানের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন সৈন্যরা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং কয়েক শ' হামভি, সাজোয়া ট্যাংক ও অস্ত্র ধ্বংস করেছে। তালেবান জানায়, তারা ধ্বংস করা সরঞ্জামের প্রকৃত মূল্য জানে না। তবে ধারণা করছে, এসবের দাম ১০০ মিলিয়ন ডলার।
ক্যাম্পের কমান্ডার মৌলভি আথনাইন বলেন, ব্যবহার করা যায়, এমন সবকিছু তারা ধ্বংস করেছে। ক্যাম্পে পাহারার দায়িত্বে থাকা মাসাব নামের এক তালেবান যোদ্ধা বলেন, অতীতে তিনি ক্যাম্পের কারাগারে আট দিন বন্দী ছিলেন। তিনি বলেন, আমি গ্রেফতার হয়েছিলাম, আট দিন বন্দী ছিলাম। বিষয়টি ছিল ভয়াবহ।
ক্যাম্পে মোতায়েন তালেবান বাহিনী বলছে, মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে, এমন আশঙ্কায় কয়েকটি কক্ষে এখনো প্রবেশ করেনি তারা। মার্কিন সৈন্যরা চলে যাওয়ার আগে কাবুল বিমানবন্দরের সামরিক সরঞ্জাম ও হেলিকপ্টারগুলোও ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল