আমেরিকার প্রভাবশালী সিনেটর ক্রিস মারফি সমালোচনা করে বলেছেন, মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগে নীতি অনুসরণ করার পর থেকে ইরান আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে।
তিনি বলেন, ইরানের উন্নতি দেখে এটি পরিষ্কার প্রমাণিত হয় যে, একতরফা নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরান এবং পাঁচ জাতিগোষ্ঠির মধ্যে যখন পরমাণু সমঝাতা পুনর্বহাল এবং তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে দু'পক্ষের শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকরা লাগাতার আলোচনা করছেন তখন আমেরিকার সিনেটর ক্রিস মারফি এই মন্তব্য করলেন।
টুইট বার্তায় তিনি বলেন, "ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ধ্বংসাত্মক সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে, ইরানের বিরুদ্ধে একতরফা নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার জন্য ভালো নয় বরং পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করেছে।"
তিনি তার ভাষায় জোর দিয়ে বলেন, "পরমাণু সমঝোতা থেকে আমরা বেরিয়ে আসার পর ইরান আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে এবং ইরানের আচরণ আগের চেয়ে বেশী বিপজ্জজনক হয়ে উঠেছে।"
ক্রিস মারফি বলেন, "ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরান আমাদের সেনাদের ওপর গোলাগুলি ছুঁড়তে শুরু করে, পরমাণু গবেষণা জোরদার করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের সহযোগী সংগঠনগুলোকে সমর্থন দেয়া জোরদার করেছে।"
২০১৮ সালের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরান তখনই পরমাণু সমঝোতা থেকে সরে যায় নি বরং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু পুরো এক বছর অপেক্ষার পরেও কোনো পক্ষ থেকে পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি বাস্তবায়নের ব্যাপারে উদ্যোগ না দেখে ইরান চূড়ান্ত পর্যায়ে সমঝোতার কিছু কিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত করে দেয় এবং পমাণু কর্মসূচি জোরদার করে। এর আওতায় ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রাও বাড়িয়েছে। সূত্র: পার্সটুডে
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত