পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা শক্তিশালী করার ঘটনাকে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া যখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে তখন ল্যাভরভ তার তুর্কি সমকক্ষ মেভলুত চাভুসওগ্লুর সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এ মন্তব্য করলেন।
এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করতে চায় বলে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো অভিযোগ করলেও রাশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করেছে।মস্কো বলছে, দেশটি নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় এবং সে পূর্বদিকে ন্যাটো জোটের বিস্তার বিশেষ করে এই জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির বিরোধী। ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না- মর্মে রাশিয়া গ্যারান্টি চাইলেও আমেরিকা সে গ্যারান্টি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রুশ বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, বুধবার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনালাপে সের্গেই ল্যাভরভ মূলত ইউক্রেন সংকট ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে ন্যাটোর কাছে চাওয়া নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিয়ে কথা বলেন।রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ সময় ইউক্রেনের রুশ সীমান্তবর্তী দোনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ল্যাভরভ ও চাভুসওগ্লু।
এ সময় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী করার এবং দেশটিকে উসকানি দেয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা মেনে নেয়া রাশিয়ার পক্ষে সম্ভব নয়। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে না চাইলে এ সংক্রান্ত প্রচারণার যে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেন সের্গেই ল্যাভরভ।
এর আগে পশ্চিমা সূত্রগুলো জানিয়েছে যে, ১৬ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি বরং উল্টো এদিন মস্কো ঘোষণা করেছে, তারা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে তাদের কিছু সেনা সরিয়ে নিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইউক্রেনকে পুঁজি করে আমেরিকা তার ইউরোপীয় মিত্রদের নিয়ে সামরিক দিক দিয়ে রাশিয়ার ক্ষতি করতে চেয়েছিল।