রাশিয়া ‘পরিকল্পিত অনুশীলনে’ এর অংশ হিসেবে তার সর্বশেষ হাইপারসনিক, ক্রুজ এবং পারমাণবিক সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার এই সামরিক মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়া-ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে এই মহড়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সূত্র মারফত জানা গেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র এক দেশ থেকে অন্য দেশে পারমাণবিক অস্ত্র ছুঁড়তে সক্ষম। ইউক্রেন সীমান্তে যখন উপস্থিতি বাড়াচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী সেই অবস্থায় রাশিয়ার এই ধরনের সামরিক মহড়া ক্ষমতা প্রদর্শনেরই অংশ বলে মনে করছেন অনেকে। সেই মহড়ায় পুতিনের উপস্থিতি যথেষ্ট তাৎপর্য বহন করে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, সামরিক মহড়া শুরু হয়ে গেছে। পুতিন এবং বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেনকো ক্রেমলিন থেকে এই মহড়ায় নজর রাখছেন।
ক্রেমলিনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সকল ক্ষেপণাস্ত্র তাদের কার্যক্ষমতার উদ্দেশ্য নিশ্চিত করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে। এই মহড়ায় টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান এবং সাবমেরিনের পরীক্ষা হয়েছে।
রাশিয়ার জেনারেল স্টাফের প্রধান ভ্যালেরি জেরাসিমভ বলেছেন, এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হল আমাদের কৌশলগত আক্রমণাত্মক বাহিনীর কর্মক্ষমতা নিখুঁত করা, যার লক্ষ্য শত্রুর বিরুদ্ধে একটি গ্যারান্টিযুক্ত স্ট্রাইক প্রদান করা।
জেরাসিমভ আরও জানিয়েছেন, এই সামরিক মহড়া দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ধাপে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালাতে সক্ষম এরকম অস্ত্রের কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করা। দ্বিতীয় ধাপে জবাবি হামলার জন্য ব্যবহৃত কৌশলগত অস্ত্রের পরীক্ষা। ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, এই মহড়ায় রাশিয়ার ব্ল্যাক অ্যান্ড নর্থ নৌবাহিনীর পাশাপাশি দেশের কৌশলগত বাহিনীও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ