ইউক্রেনের দুই বিচ্ছিন্ন অংশের স্বীকৃতি ও সেখানে ‘শান্তিরক্ষী বাহিনী’ পাঠানোর ঘোষণা করে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন দৃশ্যত সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছেন৷ আক্রমণের শঙ্কায় সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়ছেন পূর্ব ইউক্রেনের বাসিন্দারা৷
রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহীগোষ্ঠীর দখলে রয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের একাংশ৷ সেখান থেকে রাশিয়ার ভরোনেজহের অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকার জন্য পা বাড়িয়েছেন অসংখ্য মানুষ৷ সপরিবারে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন অনেকেই৷
ইউক্রেন সীমান্তে হওয়া রাশিয়ার সেনাবাহিনীর যেকোনো আক্রমণাত্মক কার্যকলাপের দাম দিতে হবে রাশিয়াকে- পশ্চিমের দেশগুলো এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আগেই। কিন্তু পুতিন অবিচল। তাই যুদ্ধের শঙ্কায় ঘর-বাড়ি ছাড়ছেন মানুষ। রাশিয়ার রস্তভের তাগানরগ শহরে সমাজকল্যাণ বিভাগের সামনে অজস্র মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে। এই ব্যক্তিদের পূর্বইউক্রেনের বিদ্রোহীগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ট্রেনে করে নিরাপদ এলাকার দিকে চলে যাচ্ছেন অনেকেই। রস্তভের তাগানরগে একটি স্থানীয় স্পোর্টস স্কুলে অস্থায়ী আশ্রয় তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সারি সারি বিছানা, বালিশ আর কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে৷
মানবিক সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে অনেক সংস্থা৷ ক্রিমিয়ার সিমফেরোপলে পাঠানো হয়েঝে প্যাকেটজাত খাবার৷ সবরকম পরিস্থিতির কথা ভেবে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে৷ পানীয় জলসহ খাবারের প্যাকেট পাঠানোর কাজ চলছে।
সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-সমর্থিত দুই অঞ্চল দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন৷ এর ফলে সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে৷ ভয় বেড়েছে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও৷ নিরাপদ এলাকায় সরানো হয়েছে অনেককে।
ভরোনেজহের অস্থায়ী আশ্রয়ে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় একদল মানুষকে৷ নিরাপত্তার কথা ভেবেই ঘর ছাড়তে হয়েছে তাদের৷ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, কী করবেন কেউ জানেন না৷
যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী৷ ক্রিমিয়ার উপকূলে যুদ্ধজাহাজও ঘোরাফেরা করছে৷ রুশপন্থি বিদ্রোহীরা যুদ্ধের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষদের সরিয়ে দিচ্ছে রাশিয়ায়৷ বিশেষ করে নারী, শিশু, প্রবীণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে, রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ