গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। এরই মধ্যে বুধবার ৪৯তম দিনে গড়িয়েছে রুশ বাহিনীর এই সামরিক অভিযান।
রাশিয়ার দাবি, রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাস (ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক) অঞ্চলকে বেসামরিকীকরণ, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ না দিতে এবং দেশটিকে অস্ত্র নিরপেক্ষ মর্যাদা ধারণ করানোর লক্ষ্যেই বিশেষ এই সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেনের সঙ্গে এই সংঘাতের মধ্যেই ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আগ্রহের কথা শোনা যাচ্ছে পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবরে। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, অচিরেই ওই দুই দেশকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এরপর নিজেদের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে ফিনল্যান্ড সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করতে যাচ্ছে রাশিয়া, এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল।
পত্রিকাটি জানিয়েছে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোকে ফিনল্যান্ড সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার ডেইলি মেইলের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ফিনল্যান্ডকে হুঁশিয়ার করে দেওয়ার পর ওই দেশের সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তর করার কাজ শুরু করেছে।
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো জোটে যোগদানের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ন্যাটো জোটের বিস্তারের মাধ্যমে ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।
ন্যাটোকে সংঘাতের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার একটি হাতিয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করে পেসকভ বলেন, এ জোটের সদস্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ইউরোপ মহাদেশে স্থিতিশীলতা আনা যাবে না।
গত সপ্তাহে ব্রাসেলসে জোটের শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে বৈঠকে চলতি বছরেই সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করার একদিন পরই এই সতর্কবার্তা দেয় রাশিয়া। সূত্র: ডেইলি মেইল
বিডি প্রতিদিন/কালাম