কর্মী সংকট ও নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন।
গত সোমবার ব্লুমবার্গ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
অ্যামাজনের সাবেক প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস ২০১৩ সালে ৩০ মিনিটের মধ্যে ড্রোন ডেলিভারি চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর প্রায় ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও অ্যামাজনের পণ্য গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছেনি।
২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রাইম এয়ার ডেলিভারি ড্রোনটির নতুন ডিজাইন প্রকাশ করে, যেটি লম্বাভাবে ওড়ানো যেত এবং পরের বছরই এর ব্যবহার শুরুর কথা বলা হয়েছিল। যদিও সেই উদ্যোগও অকার্যকর রয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওরিগনের পেন্ডলেটনে চার মাস ড্রোন ডেলিভারির কার্যক্রমের পরীক্ষা চালায় প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় পাঁচবার ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। গেল বছরের মে মাসে প্রপেলার হারানোর পর একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হয়।
এ বিষয়ে অ্যামাজনের মুখপাত্র এভি জামিট বলেন, ইভেন্টটি নথিভুক্ত করতে এবং ড্রোনটি অপসারণে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) থেকে যে নির্দেশনা এসেছে, অ্যামাজন তা অনুসরণ করেছে বলে জানান তিনি।
তবে জরুরি মুহূর্তে অবতরণসহ ড্রোনকে স্থিতিশীল করার কোনো ফিচার কাজ না করায় ড্রোনটি ১৬০ ফুট ওপর থেকে মাটিতে ভূপাতিত হয়ে বিধ্বস্ত হয় এবং আশেপাশে প্রায় ২৫ একর জায়গায় আগুন ছড়িয়ে যায়। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস দল পরে সেটি নেভায়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন