রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করা মানে হাঙ্গেরির অর্থনীতির ওপর পরমাণু বোমা হামলা বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টোর ওরবান। তিনি বলেন, ইউরোপীয় কমিশন রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধের যে প্রস্তাব দিয়েছে তা তার দেশের অর্থনীতির ওপর পরমণু বোমা হামলার চালানোর শামিল।
হাঙ্গেরির সরকারি রেডিও চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি। আজ শুক্রবার দেওয়া এই সাক্ষাৎকারের দিয়ে এক লাইভ আপডেটে এ খবর জানিয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। ওরবান আরও দাবি করেন, এর আগে ইউরোপীয় সদস্য রাষ্ট্রগুলো একমত হয়েছিল যে, প্রতিটি দেশের নিজস্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জোটের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ নেয়া হবে।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশন ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক যে প্রস্তাব তুলেছে তা ইউরোপীয় ঐক্যকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তিনি বলেন, যেসব দেশে সমুদ্রবন্দর রয়েছে তারা তেল আমদানির বিষয়ে অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু হাঙ্গেরির মতো ভূমিবেষ্টিত দেশ সম্পূর্ণভাবে পাইপলাইনের ওপর নির্ভরশীল। হাঙ্গেরিতে যাওয়া পাইপলাইন রাশিয়া থেকে শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই বাস্তবতা উপেক্ষা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে হাঙ্গেরি তা মানবে না।
প্রধানমন্ত্রী ওরবান বলন, ইউরোপীয় কমিশনের সর্বশেষ প্রস্তাব মেনে নেয়ার অর্থ হচ্ছে দেশের অর্থনীতির ওপর পরমাণু বোমা হামলা চালানো। তিনি সতর্ক করে বলেন, ইউরোপীয় জোটের এ প্রস্তাব গ্রহণ করলে দেশে প্রতি লিটার পেট্রোল বিক্রি হবে ১.৯০ ডলারে আর ডিজেল বিক্রি হবে ২.২২ ডলারে যা পুরো হাঙ্গেরি জাতির ওপর বিরাট বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
এছাড়া, ইউরোপীয় জোটের সিদ্ধান্ত মেনে নিলে মধ্য-ইউরোপীয় এ দেশটির জ্বালানি তেল নিকট ভবিষ্যতে পুরোপুরি ফুরিয়ে যাবে। ওরবান সুস্পষ্ট করে বলেন, রাশিয়ার তেলের বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে অন্তত পাঁচ বছর সময় লাগবে। তিনি জানান, দেশের স্বার্থের প্রতি সম্মান দেখানো পর্যন্ত তার সরকার বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে রাজি আছে।
সূত্র : পার্সটুডে, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও ডয়চে ভেলে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক