পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তুরস্ক যে আপত্তি তুলেছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটি। এখন আর বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই সামরিক জোটে যোগ দিতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের পথে আর কোনও বাধা নেই।
স্পেনের মাদ্রিদে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে জোটের নেতাদের মধ্যে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় তিন দেশ। সেখানে নর্ডিক প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছলে তুরস্কের সঙ্গে ওই দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতাস্মাক সই হয়।
রাশিয়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টায় করতে থাকে। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তুরস্ক। জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সরাসরি বলেন, তার দেশ ফিনল্যান্ড-সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে না।
ফিনল্যান্ড-সুইডেনের বিরুদ্ধে তুরস্কের মূল অভিযোগ কী?
ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দুই দেশের ব্যাপারে বহুদিন ধরেই তুরস্কের রয়েছে এন্তার অভিযোগ। দেশটির অভিযোগ, ফিনল্যান্ড-সুইডেন কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘পিকেকে’কে সমর্থন জোগায়, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতাকর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়।
‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন বলতে তিনি যে ‘পিকেকে’ এবং সিরিয়ায় তাদের শাখা বলে পরিচিত কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী ‘ওয়াইপিজি’কে বুঝিয়েছেন। সুইডেনের ব্যাপারে তুরস্ক বিশেষভাবে ক্ষ্যাপা। কারণ, সুইডেন প্রকাশ্যে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে কুর্দি মিলিশিয়া ‘ওয়াইপিজি’কে সমর্থন দিয়েছে। এ কারণে গত বছর এপ্রিলে আঙ্কারায় সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। সুইডেনে পার্লামেন্টে বর্তমানে ছয়জন এমপি রয়েছেন, যারা জাতিগত কুর্দি এবং তারা কুর্দি ইস্যুতে তুর্কি নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত সোচ্চার। সূত্র: ইকোনমিস্ক, রয়টার্স, স্কাই নিউজ, পলিটিকো, ভয়েস অব আমেরিকা
বিডি প্রতিদিন/কালাম