শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:১৭, বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

ক্ষমতাচ্যুত হয়ে নির্বাসনে যাওয়া নেতাদের ভাগ্যে কী ঘটে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
ক্ষমতাচ্যুত হয়ে নির্বাসনে যাওয়া নেতাদের ভাগ্যে কী ঘটে?

গণবিক্ষোভের পর শ্রীলঙ্কা একজন নতুন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে। কিন্তু আগের জন -ক্ষমতাচ্যুত গোতাবায়া রাজাপাকসে - তার কী হবে?

গত ১৩ জুলাই রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান মালদ্বীপে, তার পর বিমানে করে চলে যান সিঙ্গাপুর। সেখান থেকেই তিনি তার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।

তবে এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে তিনি সেখানেই থাকবেন কি না। শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার একজন মুখপাত্র বলেছেন তিনি দেশে ফিরে আসবেন।

কিন্তু একটি অধিকার গোষ্ঠী সিঙ্গাপুরের এটর্নি জেনারেলের কাছে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করে দেশটির রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের সময় তার ভূমিকার কারণে তার গ্রেফতার দাবি করেছে।

এর আগে কিছু খবরে জানা গিয়েছিল যে তিনি হয়তো সৌদি আরব বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যেতে পারেন।

এমন ঘটনা আদৌ বিরল নয়

এক দেশের ক্ষমতাচ্যুত নেতারা অন্য দেশে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন - এমনটা প্রায়ই হতে দেখা যায়। গত আগস্ট মাসেই আফগানিস্তানে তালেবানের কাবুল দখল করার মুখে দেশ ছেড়ে পালান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। তিনি এখন নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আবেল এসক্রিবা ফলশ এবং ড্যানিয়েল ক্রেমারিচ এক হিসাব তুলে ধরে বলছেন, ১৯৪৬ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত ১৮০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

ইতিহাস থেকে এমনই কিছু প্রভাবশালী নেতার কথা তুলে ধরা যাক।

দালাই লামা (১৯৫৯ থেকে এখন পর্যন্ত)

তিব্বতী ধর্মগুরু ও নেতা দালাই লামা ১৯৫৯ সালে চীন থেকে নির্বাসিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এখনও তিনি সেখানেই আছেন।

তিব্বতে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে যে অভ্যুত্থান হয়েছিল- তা সহিংস পন্থায় দমন করেছিল চীন। সেসময় দালাই লামাকে আশ্রয় দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত, তা বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই দুই দেশের মধ্যেকার সংঘাতের এক স্থায়ী উৎস হয়ে রয়েছে।

চীনা প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই ভারতকে সতর্ক করেছিলেন তিব্বতী বৌদ্ধদের নেতা দালাই লামাকে আশ্রয় না দেওয়ার জন্য। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওয়াহরলাল নেহরু তা উপেক্ষা করেছিলেন।

ভারতের একজন রাজনীতিবিজ্ঞানী মাধব নালাপাত বলেন, দিল্লির প্রতি চীনের অবিশ্বাসের মূলে রয়েছে একজন সম্মানিত অতিথি হিসেবে দালাই লামার দশকের পর দশক ধরে ভারতে উপস্থিতি।

“চীনা প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার নেহরুর সিদ্ধান্ত ছিল এক বিরাট ঘটনা, এবং দালাই লামাকে স্বাগত জানানোটা চীন ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে যে ফাটল ধরায় তা আজও রয়ে গেছে।”

আয়াতুল্লাহ খোমেনি (১৯৬৪-১৯৭৯) এবং ইরানের শাহ (১৯৭৯-১৯৮০)

ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময় একজনের নির্বাসনে যাওয়া আর আরেকজনের নির্বাসন থেকে ফেরার ঘটনা একই সময়ে ঘটেছিল।

রুহুল্লা খোমেনি ছিলেন একজন ধর্মীয় নেতা, যিনি ইরানের শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভীর পশ্চিমা-পন্থী শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন- এবং শেষ পর্যন্ত আজকের ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

ইরানের পরিচয় এবং রাষ্ট্রের গতিপথ কী হবে তা নিয়ে দু’জনের এই দ্বন্দ্ব দু’জনকেই নির্বাসিত জীবনে ঠেলে দিয়েছিল। একটি নিরাপদ আশ্রয়দাতা দেশ খুঁজে পেতে শাহের যে সমস্যা হয়েছিল তা হয়তো পলায়নপর অন্য নেতাদের জন্য এক সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করতে পারে।

শাহের শাসনের তীব্র বিরোধিতার জন্য ১৯৬৪ সালে খোমেনিকে নির্বাসনে যেতে হয়। তিনি প্রথম যান তুরস্কে, তারপর ইরাকে এবং শেষে ফ্রান্সে। সেখান থেকেই তিনি শাহকে উৎখাত করার জন্য তার সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান।

দেশব্যাপী দাঙ্গা, ধর্মঘট, আর বিক্ষোভের মধ্যে ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি মাসে জনপ্রিয়তা-হারানো ইরানের শাহের সরকার ভেঙে পড়ে। তিনি ও তার পরিবার দেশ ছেড়ে পালান।

ফেব্রুয়ারি মাসের এক তারিখ বিজয়ীর বেশে ইরানে ফিরে আসেন খোমেনি। তার সাথে একই বিমানে থাকা সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন বিবিসির জন সিম্পসনও। তারা ভয় পাচ্ছিলেন যে বিমানটিকে হয়তো গুলি করে ভূপাতিত করা হতে পারে।

ইরানে এর পর একটি গণভোট হয় এবং তাতে বিপুল বিজয় পেয়ে খোমেনি আজীবনের জন্য দেশটির রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা হন।

অন্যদিকে, শাহ এবং তার স্ত্রী সম্রাজ্ঞী ফারাহ- প্রথমে যান মিশরের আসওয়ানে। সরকারি খবরে বলা হয়, শাহ সেখানে “ছুটি কাটাতে ও চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন।”

এর পর তিনি মরক্কো, বাহামা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পানামায় সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অবস্থান করেন। শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি ১৯৮০ সালের ২৭ জুলাই মিশরের কায়রোতে মারা যান।

শাহ যে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন- এই খবরেই তেহরানের মার্কিন দূতাবাসে ঢুকে তা দখল করে নেয় ইরানের বিক্ষোভকারীরা, এবং মার্কিন কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের জিম্মি করে। এই জিম্মি সংকট চলেছিল ৪০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে।

খোমেনি সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে ইরান শাসন করেন ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত। সে বছর ৪ জুন তিনি মারা যান।

ইদি আমিন (১৯৭৯-১৯৯৩)

অনেক সময় সবচেয়ে কঠোর স্বৈরশাসকও নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে যান । উগান্ডার ইদি আমিন হচ্ছেন তাদের একজন। তিনি ছিলেন একজন সামরিক নেতা এবং ১৯৭৯ সালে তিনি উগান্ডার ক্ষমতা দখল করেন।

পরের এক দশক ধরে তিনি দেশটিতে তার বর্বর স্বৈরশাসন চালান- যার উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল একাধিক গণহত্যা এবং এশীয় জনগোষ্ঠীর সবাইকে দেশ থেকে তাড়ানো।

কিন্তু এই ইদি আমিনও যখন ১৯৭৯ সালে তানজানিয়ার সৈন্য এবং উগান্ডার নির্বাসিতদের হাতে উৎখাত হন- তখন তিনি কিন্তু পালাবার পথ পেয়েছিলেন।

অধ্যাপক এসক্রিবা-ফলশ বলছেন, “স্বৈরশাসকদের এমন সব দেশেই পালানোর সম্ভাবনা বেশি- যেসব দেশের সাথে তাদের গভীর ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সামরিক বা অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকে।”

এই সাবেক আফ্রিকান মুসলিম নেতাকে আশ্রয় দেয় সৌদি আরব - যদিও ইদি আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তার শাসনকালে প্রায় চার লাখ উগান্ডান নিহত হয়েছে। ইদি আমিন মারা যান ২০০৩ সালে এবং তার আগে পর্যন্ত তিনি সৌদি আরবে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেছিলেন।

‘বেবি ডক’ দুভালিয়ের (১৯৮৬-২০১১)

মানুষের মনে ভীতি উদ্রেক করে এমন বিদেশি নেতাদের শুধু যে সৌদি আরবই আশ্রয় দিয়েছে তা নয়।

অনেক ইউরোপিয়ান শহরও ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপ্রধানদের গন্তব্য হয়েছে। কারণ অনেক সময়ই সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো তাদের সাবেক উপনিবেশগুলোতে প্রভাব বজায় রাখতে বা অস্থিতিশীলতা রোধ করতে চেষ্টা করে থাকে।

এর একটি উদাহরণ হলেন সাবেক হাইতিয়ান প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লদ দুভালিয়ের - যাকে ‘বেবি ডক’ নামেও ডাকা হতো। তার বাবা ফ্রাঁসোয়া বা ‘পাপা ডক’ ১৯৫৭ সাল থেকে হাইতির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার মৃত্যুর পর আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট হন ‘বেবি ডক’- যার বয়স তখন ছিল মাত্র ১৯।

বাবার মতই বেবি ডক দেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করতেন ‘টনটনস মাকুটে’নামে একটি নির্দয় মিলিশিয়া বাহিনীকে। এই দুই দুভালিয়েরের শাসনকালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হাইতিতে ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ লোক নিহত হয়েছিল।

এক গণঅভ্যুত্থানে ১৯৮৬ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন জঁ-ক্লদ দুভালিয়ের। তিনি ২৫ বছর নির্বাসিত জীবন কাটান। প্রথমে তিনি ছিলেন দক্ষিণ ফ্রান্সে। কিন্তু ১৯৮৬ সালে সুইস ব্যাংকে থাকা তার প্রায় ৬০ লাখ ডলার ফ্রিজ করা হয়, এবং তার বাকি অর্থও তিনি হারান ১৯৯৩ সালে এক তিক্ত বিবাহবিচ্ছেদের মামলায়।

পরের দিকে তিনি প্যারিসে একটি ছোট ফ্ল্যাটে থাকতেন এবং তার অনুসারীদের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভর করতেন।

পরে ২০১১ সালে বেবি ডক হাইতিতে ফিরে আসেন। তাকে অর্থ আত্মসাৎ ও অপচয়ের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।

যদিও তিনি এবং তার বাবার বিরুদ্ধে প্রায় ৩০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে পোর্ট অ-প্রিন্সের উপকণ্ঠে থাকতে দেওয়া হয়। তিনি তার ইচ্ছেমত শহরে ঘুরে বেড়াতেন। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ২০১৪ সালে তার মৃত্যু হয়।

বেনজির ভুট্টো (১৯৮৪-১৯৮৬, ১৯৯৯-২০০৭), নওয়াজ শরিফ (১৯৯৯-২০০৭)

কোনও কোনও দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এমন যে সেখানে অনেক বেশি নেতাকে নির্বাসনে যেতে হয়েছে, এবং পাকিস্তান হচ্ছে তেমনি একটি দৃষ্টান্ত।

বেনজির ভুট্টোর রাজনৈতিক জীবন ছিল উত্থান-পতনে ভরা। তাকে নির্বাসনে যেতে হয়েছিল দু’বার- যুক্তরাজ্যে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে । দু’বারই তিনি নির্বাসন থেকে পাকিস্তানে ফিরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।

তিনি ছিলেন কোনও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। এ পদে তিনি প্রথম আসীন হন ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত। আর দ্বিতীয়বার ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত।

দুবারই তাকে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। ২০১৩ সালে দৃশ্যত এক আত্মঘাতী আক্রমণে তিনি নিহত হন। তার বাবা জুলাফিকার আলি ভুট্টোর মৃত্যু হয় ফাঁসিতে ও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় দুই ভাইয়েরও।

বেনজির ভুট্টো ক্ষমতাচ্যুত হবার পর দুবারই প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজ শরিফ। কিন্তু ১৯৯৯ সালে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন সামরিক বাহিনীর হাতে। তিনি কিছুদিন বন্দী থাকার পর নির্বাসিত জীবন কাটান সৌদি আরবে।

এর ১৪ বছর পরে তিনি দেশে ফেরেন এবং তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী হন।

তবে ২০১৭ সালে পানামা পেপার্স মামলায় নওয়াজ শরিফের পরিবারের অপ্রকাশিত সম্পদের বিবরণ প্রকাশ হলে আদালত তাকে আজীবনের জন্য সরকারি পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করে।

বেনজির ভুট্টো এবং নওয়াজ শরিফ- দুজনকেই যার ক্ষমতাসীন হবার পর নির্বাসনে যেতে হয়েছিল, সেই পারভেজ মোশাররফেরও রাজনৈতিক জীবন শেষ হয় নির্বাসনে।

জাইন আল-আবিদিন বেন আলি (২০১১-২০১৯)

তিউনিসিয়ায় ২০১১ সালে এক গণবিক্ষোভে ২৩ বছর ক্ষমতাসীন থাকার পর পতন ঘটে জাইন আল-আবিদিন বেন আলির। ‘আরব বসন্ত’ আন্দোলনে প্রথম ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন তিনিই।

গণবিক্ষোভের পর তিনি পালিয়ে যান সৌদি আরবে এবং সেখানেই ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান।

বেন-আলির অনুপস্থিতিতেই তিউনিসিয়ায় তার ও তার স্ত্রীর বিচার হয় এবং বিভিন্ন মেয়াদে একাধিক কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আরব বসন্ত আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এর ফলে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হয় মিশর, লিবিয়া ও ইয়েমেনে- আর সিরিয়ায় এক দশক ধরে চলে গৃহযুদ্ধ।

ইসাবেল পেরন (১৯৮১ থেকে এ পর্যন্ত)

কোনও কোনও নির্বাসিত শাসকের ক্ষেত্রে এমন হয়েছে যে তার দেশ তাকে বিচারের জন্য ফিরিয়ে আনতে চেয়েছে। আর্জেন্টিনার ইসাবেল পেরন তাদের একজন।

তিনি ছিলেন বিশ্বের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। তার স্বামী হুয়ান ডমিঙ্গো পেরন তিন মেয়াদে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন । ইসাবেল ছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী।

তিনি একসময় ক্যাবারে নৃত্যশিল্পী ছিলেন এবং আর্জেন্টিনার লোকে তাকে ডাকতো ‘ইসাবেলিতা’ নামে।

১৯৭৪ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর ইসাবেল পেরন প্রেসিডেন্ট হন। তার সময় আর্জেন্টিনায় অসংখ্য ধর্মঘট এবং শত শত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটে।

এক সামরিক অভ্যুত্থানে ১৯৭৬ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন ইসাবেল পেরন। কয়েক বছর গৃহবন্দী থাকার পর তিনি স্পেনে চলে যান।

সেই থেকে তিনি স্পেনে আছেন এবং লোকচক্ষুর আড়ালে জীবন কাটাচ্ছেন। ২০০৭ সালে আর্জেন্টিনা তার নামে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও স্পেন তাকে হস্তান্তর করেনি।

ফার্দিনান্দ মার্কোস (১৯৮৬-১৯৮৯)

অনেক নির্বাসিত নেতা দেশ ছাড়লেও তাদের নামের প্রভাব রাজনীতিতে রয়েই যায়। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মার্কোস তাদের একজন।

ফিলিপাইনে ১৯৮৬ সালে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ-ওঠা এক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর ফার্দিনান্দ মার্কোসের বিরুদ্ধে প্রবল গণবিক্ষোভ সৃষ্টি হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান মার্কোসকে পদত্যাগ করে হাওয়াইতে নির্বাসিত জীবন বেছে নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।

ফিলিপাইনে মার্কোসের শাসনকাল ছিল বিরোধীদের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি এবং দারিদ্রের মধ্যেও ক্ষমতাসীনের বিলাসী জীবনযাপনের অভিযোগে ভরা। প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ইমেলদা মার্কোসের জুতার সংগ্রহ এখনও কিংবদন্তী হয়ে আছে।

হাওয়াই-তেই ফার্দিনান্দ মার্কোস মারা যান ১৯৮৯ সালে।

কিন্তু মার্কোস নামের মহিমা এখনও কাটেনি। কিছুদিন আগেই ফিলিপাইনের নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র- যার ডাকনাম বংবং।

আলফ্রেডো স্ট্রজনার (১৯৮৯-২০০৬)

পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘকালব্যাপী একনায়কতন্ত্রী শাসন চলেছিল দক্ষিণ আমেরিকার প্যারাগুয়েতে ।

তবে ৩৫ বছর দেশটি শাসন করার পর ১৯৮৯ সালে যখন জেনারেল আলফ্রেডো স্টজনার ক্ষমতাচ্যুত হন- তখন তাকে আশ্রয়ের জন্য খুব বেশি দূরে যেতে হয়নি। তাকে আশ্রয় দেয় প্রতিবেশী ব্রাজিল।

স্ট্রজনারের শাসনকালে প্যারাগুয়েতে ব্যাপক মানবাধিকার লংঘন ঘটে। তাছাড়া মার্কিন-সমর্থিত অপারেশন কন্ডরেও প্যারাগুয়ে অংশ নেয়।

এটি ছিল একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও নিরাপত্তা কার্যক্রম যা ১৯৭০-এর দশকে যৌথভাবে পরিচালনা করতো ছয়টি লাতিন আমেরিকান দেশের ডানপন্থী সামরিক সরকার। দেশগুলো হচ্ছে চিলি, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে এবং ব্রাজিল।

সাবেক সামরিক শাসক স্ট্রজনার নির্বাসিত অবস্থায় ব্রাজিলেই মারা যান ২০০৬ সালে- ৯৩ বছর বয়সে।

যারা আশ্রয় পান না তাদের কী হয়?

অধ্যাপক এসক্রিবা-ফলশ বলছেন, যেসব ক্ষমতাচ্যুত নেতা অন্য কোনও দেশের সুরক্ষা বা আশ্রয় পেতে ব্যর্থ হন- তারা হয়তো যে কোনও মূল্যে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করতে পারেন।

তিনি উদাহরণ দিচ্ছেন লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির। লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে ২০১১ সালে ত্রিপোলির পতনের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রবল চাপ ছিল যেন সহিংসতা এড়াতে গাদ্দাফি নির্বাসনে চলে যান।

কিন্তু গাদ্দাফি মাসের পর মাস লুকিয়ে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত তার নিজ শহর সির্তে-তেই ক্রুদ্ধ জনতার হাতে তিনি নিহত হন।

নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০১৭ সালে লিখেছিলেন, গাদ্দাফি নির্বাসনে না গিয়ে আমৃত্যু লড়ে যাবার বিকল্প বেছে নিয়েছিলেন এবং অনেকের ধারণা- এ সিদ্ধান্তের পেছনে অন্তত একটি কারণ ছিল “তাকে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দিতে রাজি আছে এমন একটি দেশ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হওয়া।” সূত্র: বিবিসি বাংলা

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর
কাশ্মীরে গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনা নিহত
কাশ্মীরে গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনা নিহত
চীনে ভূমিধসে মৃত ২, নিখোঁজ ১৯
চীনে ভূমিধসে মৃত ২, নিখোঁজ ১৯
আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ল বিমান, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ল বিমান, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
বিশ্বজুড়ে আকাশযুদ্ধের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে চীনের যে ড্রোন!
বিশ্বজুড়ে আকাশযুদ্ধের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে চীনের যে ড্রোন!
ইসরায়েলের যেকেনও হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করবে ইরান
ইসরায়েলের যেকেনও হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করবে ইরান
চাল নিয়ে ঠাট্টা, পদ হারালেন জাপানের কৃষিমন্ত্রী
চাল নিয়ে ঠাট্টা, পদ হারালেন জাপানের কৃষিমন্ত্রী
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম জাপানের ‘রেলগান’
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম জাপানের ‘রেলগান’
ভারতের অধিকারভুক্ত নদীর পানি পাবে না পাকিস্তান, মোদির ঘোষণা
ভারতের অধিকারভুক্ত নদীর পানি পাবে না পাকিস্তান, মোদির ঘোষণা
এবার ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব উরুগুয়ের
এবার ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব উরুগুয়ের
৫০ নারী ধর্ষণ: ৩ হাজার ভিডিওসহ চালক গ্রেফতার
৫০ নারী ধর্ষণ: ৩ হাজার ভিডিওসহ চালক গ্রেফতার
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পাগল রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে ইসরায়েল: সাবেক সেনা কর্মকর্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পাগল রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে ইসরায়েল: সাবেক সেনা কর্মকর্তা
ইসরায়েলি বিমানবন্দরে আবারও হামলার দাবি হুথির
ইসরায়েলি বিমানবন্দরে আবারও হামলার দাবি হুথির
সর্বশেষ খবর
অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা ঝুঁকিতে ফেলেছে
অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা ঝুঁকিতে ফেলেছে

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

ওষুধের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণসহ চার দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন
ওষুধের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণসহ চার দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ছেন লুকা মদরিচ
রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ছেন লুকা মদরিচ

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘চাঁদপুরে চাঁদাবাজি চলবে না’
‘চাঁদপুরে চাঁদাবাজি চলবে না’

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান

৫৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

যশোরে পৌর কৃষকদল সভাপতিকে গুলি করে হত্যা
যশোরে পৌর কৃষকদল সভাপতিকে গুলি করে হত্যা

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ৪৬
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ৪৬

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি
এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পেল আসামি গ্রেফতারের ক্ষমতা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পেল আসামি গ্রেফতারের ক্ষমতা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাশ্মীরে গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনা নিহত
কাশ্মীরে গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান সফর থেকে ছিটকে গেলেন সৌম্য
পাকিস্তান সফর থেকে ছিটকে গেলেন সৌম্য

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যারা জনগণকে ভয় পায় তারাই নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে চায় : প্রিন্স
যারা জনগণকে ভয় পায় তারাই নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে চায় : প্রিন্স

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঐক্যের ডাকে রাজুতে নতুন কর্মসূচি
ঐক্যের ডাকে রাজুতে নতুন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চীনে ভূমিধসে মৃত ২, নিখোঁজ ১৯
চীনে ভূমিধসে মৃত ২, নিখোঁজ ১৯

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর এখনই বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই: অর্থ মন্ত্রণালয়
এনবিআর এখনই বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই: অর্থ মন্ত্রণালয়

১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

মুন্সিগঞ্জে গৃহবধূ মিতু হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মুন্সিগঞ্জে গৃহবধূ মিতু হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল : রিমান্ড শেষে ১০ জন কারাগারে
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল : রিমান্ড শেষে ১০ জন কারাগারে

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ল বিমান, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ল বিমান, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে একই দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট
সারাদেশে একই দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চাই না : গয়েশ্বর চন্দ্র
আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চাই না : গয়েশ্বর চন্দ্র

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নেতা শম্ভু জেল হাজতে
আওয়ামী লীগ নেতা শম্ভু জেল হাজতে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সম্ভাবনা নাই: ডা. তাহের
আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সম্ভাবনা নাই: ডা. তাহের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শতভাগ অনলাইনভিত্তিক ভূমিসেবা চালু হয়েছে : সিনিয়র সচিব
শতভাগ অনলাইনভিত্তিক ভূমিসেবা চালু হয়েছে : সিনিয়র সচিব

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুুন্সিগঞ্জে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ২০ জন
মুুন্সিগঞ্জে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ২০ জন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত
বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রলীগ নেতা রিপন-নাঈমসহ ১০ জন কারাগারে
ছাত্রলীগ নেতা রিপন-নাঈমসহ ১০ জন কারাগারে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বজুড়ে আকাশযুদ্ধের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে চীনের যে ড্রোন!
বিশ্বজুড়ে আকাশযুদ্ধের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে চীনের যে ড্রোন!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওষুধের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণসহ চার দফা দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন
ওষুধের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণসহ চার দফা দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে ১৮ জনের করোনা পরীক্ষায় ৬ জন শনাক্ত
দেশে ১৮ জনের করোনা পরীক্ষায় ৬ জন শনাক্ত

৩ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
আরব আমিরাতে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
আরব আমিরাতে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভেঙে পড়ল যুদ্ধ জাহাজ, ক্ষেপে গেলেন কিম
ভেঙে পড়ল যুদ্ধ জাহাজ, ক্ষেপে গেলেন কিম

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথে বাধা নেই
রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথে বাধা নেই

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করে ৩০ নেতাকর্মীর ছাত্রদলে যোগদান
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করে ৩০ নেতাকর্মীর ছাত্রদলে যোগদান

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মাওবাদী নিধনের নামে কাদের হত্যা করছে মোদি প্রশাসন?
মাওবাদী নিধনের নামে কাদের হত্যা করছে মোদি প্রশাসন?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘রায়ের পরও ইশরাককে শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে’
‘রায়ের পরও ইশরাককে শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাজারে আসছে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট
বাজারে আসছে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট

৫ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ অনুমোদন
সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ অনুমোদন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদালত চত্বরে মমতাজের ওপর ডিম নিক্ষেপ
আদালত চত্বরে মমতাজের ওপর ডিম নিক্ষেপ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আসাদ আলম সিয়াম
পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আসাদ আলম সিয়াম

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে ভয়াবহ ঝড়ের কবলে ভারতের বিমান
মাঝ আকাশে ভয়াবহ ঝড়ের কবলে ভারতের বিমান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম জাপানের ‘রেলগান’
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম জাপানের ‘রেলগান’

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেসবুক পোস্টে যে বার্তা দিলেন জামায়াত আমির
ফেসবুক পোস্টে যে বার্তা দিলেন জামায়াত আমির

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক আচরণের মুখেও শান্ত ছিলেন রামাফোসা
ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক আচরণের মুখেও শান্ত ছিলেন রামাফোসা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি দূতাবাসকর্মীকে হত্যা, কে এই সন্দেহভাজন হামলাকারী?
ইসরায়েলি দূতাবাসকর্মীকে হত্যা, কে এই সন্দেহভাজন হামলাকারী?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বজুড়ে আকাশযুদ্ধের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে চীনের যে ড্রোন!
বিশ্বজুড়ে আকাশযুদ্ধের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে চীনের যে ড্রোন!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আন্দোলন স্থগিত করলেন ইশরাক
আন্দোলন স্থগিত করলেন ইশরাক

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগের খবর না আসা পর্যন্ত লড়াই চলবে: ইশরাক
আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগের খবর না আসা পর্যন্ত লড়াই চলবে: ইশরাক

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশকে সিরিজ হারের লজ্জা দিলো আরব-আমিরাত
ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশকে সিরিজ হারের লজ্জা দিলো আরব-আমিরাত

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সারাদেশে একই দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট
সারাদেশে একই দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

দুপুরের মধ্যে চার অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা
দুপুরের মধ্যে চার অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫০ নারী ধর্ষণ: ৩ হাজার ভিডিওসহ চালক গ্রেফতার
৫০ নারী ধর্ষণ: ৩ হাজার ভিডিওসহ চালক গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় প্রবেশ করল ত্রাণবাহী ১০০ ট্রাক, পৌঁছায়নি সাধারণ মানুষের কাছে
গাজায় প্রবেশ করল ত্রাণবাহী ১০০ ট্রাক, পৌঁছায়নি সাধারণ মানুষের কাছে

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ শেষে পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
যুদ্ধ শেষে পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে’
‘নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে’

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের পদত্যাগ দাবি করলেন রিজভী
উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের পদত্যাগ দাবি করলেন রিজভী

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবারও ইসরায়েলে হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
আবারও ইসরায়েলে হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫০টিরও বেশি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিরিয়াল কিলার 'ডা. ডেথ' গ্রেফতার
৫০টিরও বেশি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিরিয়াল কিলার 'ডা. ডেথ' গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের অধিকারভুক্ত নদীর পানি পাবে না পাকিস্তান, মোদির ঘোষণা
ভারতের অধিকারভুক্ত নদীর পানি পাবে না পাকিস্তান, মোদির ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে দুই ইসরায়েলি দূতাবাস কর্মীকে গুলি করে হত্যা
যুক্তরাষ্ট্রে দুই ইসরায়েলি দূতাবাস কর্মীকে গুলি করে হত্যা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনৈতিক সরকারের কাছে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর প্রয়োজন
রাজনৈতিক সরকারের কাছে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর প্রয়োজন

প্রথম পৃষ্ঠা

আরেকটি এক-এগারোর ফাঁদে দেশ?
আরেকটি এক-এগারোর ফাঁদে দেশ?

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসার ভাঙছে তাসের ঘরের মতো
সংসার ভাঙছে তাসের ঘরের মতো

পেছনের পৃষ্ঠা

রপ্তানির পর এবার রেমিট্যান্সে ধাক্কা
রপ্তানির পর এবার রেমিট্যান্সে ধাক্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিস্ময়কর ২২০ বছরের সূর্যপুরী
বিস্ময়কর ২২০ বছরের সূর্যপুরী

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেট নগরজুড়ে আড্ডাবাজি কঠোর বিএনপি
সিলেট নগরজুড়ে আড্ডাবাজি কঠোর বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইশরাক সমর্থকরা মাঠ ছাড়বেন না
ইশরাক সমর্থকরা মাঠ ছাড়বেন না

প্রথম পৃষ্ঠা

কেউ নেবে না ব্যর্থতার দায়
কেউ নেবে না ব্যর্থতার দায়

সম্পাদকীয়

১০ মিনিটের বৃষ্টিতে ডুবল চট্টগ্রাম
১০ মিনিটের বৃষ্টিতে ডুবল চট্টগ্রাম

নগর জীবন

আসছে সংকটকালের সংক্ষিপ্ত বাজেট
আসছে সংকটকালের সংক্ষিপ্ত বাজেট

পেছনের পৃষ্ঠা

অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত
অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত

প্রথম পৃষ্ঠা

মানব পাচার বন্ধে পদক্ষেপ চায় মালয়েশিয়া
মানব পাচার বন্ধে পদক্ষেপ চায় মালয়েশিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কথা হয়নি, হবেও না
করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কথা হয়নি, হবেও না

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠিন হচ্ছে বিমা কোম্পানির সিইও নিয়োগ
কঠিন হচ্ছে বিমা কোম্পানির সিইও নিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়র ইস্যুতে রাজনীতিতে ভিন্ন মোড়
মেয়র ইস্যুতে রাজনীতিতে ভিন্ন মোড়

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবিতে পাল্টাপাল্টি
উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবিতে পাল্টাপাল্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

ডুবছে নিচু এলাকা
ডুবছে নিচু এলাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

এনবিআরে অসহযোগ ঘোষণা, চার দাবি কর্মকর্তাদের
এনবিআরে অসহযোগ ঘোষণা, চার দাবি কর্মকর্তাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকার একটি সংস্কারও করতে পারেনি
সরকার একটি সংস্কারও করতে পারেনি

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখছে
পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখছে

নগর জীবন

কোন নির্বাচন আগে সিদ্ধান্ত সরকারের
কোন নির্বাচন আগে সিদ্ধান্ত সরকারের

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বৃহৎ পরিসরে অংশগ্রহণ করতে হবে
দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বৃহৎ পরিসরে অংশগ্রহণ করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসি পুনর্গঠনের দাবি, গভীর ষড়যন্ত্র
ইসি পুনর্গঠনের দাবি, গভীর ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসি পুনর্গঠন চায় এনসিপি
ইসি পুনর্গঠন চায় এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

লুটপাট, নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি
লুটপাট, নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কারে আগ্রহ বিদেশিদের
সংস্কারে আগ্রহ বিদেশিদের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রখ্যাত নির্মাতাদের কালজয়ী ছবি
প্রখ্যাত নির্মাতাদের কালজয়ী ছবি

শোবিজ

ঈদ আনন্দমেলায় সাবিনা-শাকিব-পূজা
ঈদ আনন্দমেলায় সাবিনা-শাকিব-পূজা

শোবিজ

একসঙ্গে আটক ছয় চেয়ারম্যান
একসঙ্গে আটক ছয় চেয়ারম্যান

দেশগ্রাম