চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এ কথা জানান। সোমবার রাজধানী তেহরানে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বার্তা সংস্থাগুলোর সংগঠন ওয়ানার সাধারণ অধিবেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রস্তাব দেন আব্দুল্লাহিয়ান।
তিনি বলেন, তার দেশ রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করেছে বলে পশ্চিমা দেশগুলো যে অভিযোগ করছে তা নিয়ে তেহরান কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
গত বেশ কিছুদিন ধরে ইউক্রেনসহ তার পশ্চিমা মিত্ররা অভিযোগ করে আসছে যে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কাজে ব্যবহার করার জন্য রাশিয়াকে কমব্যাট ড্রোন সরবরাহ করেছে ইরান। তেহরান এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।
এ সম্পর্কে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য আমরা ড্রোনসহ অন্য কোনও অস্ত্র বিক্রি করিনি এবং ভবিষ্যতেও করব না। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের আগে থেকে যে সামরিক সহযোগিতা ছিল সেটি ইউক্রেন যুদ্ধে সহযোগিতা না করার শর্তে আগের মতো চলমান থাকবে।”
হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, “রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের বহু বছরের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রয়েছে। অতীতে আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে যেমন সমরাস্ত্র গ্রহণ করেছি তেমনি রাশিয়াকেও নানা রকম সমরাস্ত্র হস্তান্তর করেছি। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এ ধরনের কোনও লেনদেন হয়নি।”
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেলের এ সংক্রান্ত সর্বসাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, “আমি বোরেলকে জানিয়েছি- ইউক্রেনের একটি সামরিক বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে ইরানের একই রকমের একটি বিশেষজ্ঞ দল একসঙ্গে মিলে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পারে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় যেসব ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে সেসব আসলে কোথায় তৈরি হয়েছে তা ওই যৌথ বিশেষজ্ঞ দল তদন্ত করে দেখবে।”
জোসেপ বোরেল রাশিয়ার হাতে ড্রোন তুলে দেওয়ার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করার পর আব্দুল্লাহিয়ান টেলিফোন করে বোরেলের সঙ্গে কথা বলেছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। সম্প্রতি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা চালাতে শত শত ড্রোন ব্যবহার করেছে রাশিয়া। কিয়েভসহ পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করছে ইরানের পক্ষ থেকে এসব ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছে। যদিও তেহরান ও মস্কো উভয়ে কঠোর ভাষায় এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: প্রেসটিভি
বিডি প্রতিদিন/কালাম