দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব এখন সবচেয়ে বিপজ্জনক দশকের মুখোমুখি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
একই সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা তৎপরতার নিন্দা ও সমালোচনা করে পুতিন বলেন, তারা রক্তক্ষয়ী ভূ-রাজনৈতিক খেলায় মত্ত।
বুধবার ভলদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তিনি পরিষ্কার করে বলেন, ইউক্রেনের সামরিক অভিযানের ব্যাপারে তার মধ্যে কোনও রকমের দুঃখবোধ নেই।
পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমরা ঐতিহাসিক একটি প্রান্তসীমায় দাঁড়িয়ে আছি। সামনে সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বিপজ্জনক, আনপ্রেডিক্টেবল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দশক অপেক্ষা করছে।”
তিনি বলেন, ঘটনা প্রবাহ একটি নিশ্চিত বৈপ্লবিক পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, বিশ্ব ব্যবস্থার ওপর একাধিপত্য ধরে রাখার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পশ্চিমা শক্তি দিন দিন ক্ষয়ে যাচ্ছে। সারাবিশ্বের ওপর পশ্চিমাদের নিরঙ্কুশ আধিপত্যের অবসান হওয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্ত নিকটবর্তী।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, পাশ্চাত্য বিশ্ব মানব সভ্যতাকে এককভাবে সামাল দিতে পারছে না। কিন্তু তারা বেপরোয়াভাবে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ এখন আর আমেরিকার এই একাধিপত্য চায় না।
পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া কখনওই নিজেকে পশ্চিমাদের শত্রু বলে ভাবেনি বরং মস্কো পশ্চিমা দেশগুলো ও ন্যাটো জোটের বন্ধু হতে চেয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি সবসময় সাধারণ জ্ঞানের ওপর বিশ্বাস করি এবং এ কারণে আমি নিশ্চিত যে, আজ হোক, কাল হোক বহু মেরুর বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে এবং পশ্চিমারাই এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। সে আলোচনা যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম