ভ্লাদিমির পুতিন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের খবরে আরও বেশি জায়গা পাচ্ছেন পুতিন।
৭০ বছর বয়সী পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন খবর সংবাদমাধ্যমে এর আগেও এসেছে, যেগুলো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এবারও তেমন একটি খবর এল পুতিনকে নিয়ে। খবরে দাবি করা হয়েছে, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন পুতিন। এরপর তিনি সেখানেই মলত্যাগ করে ফেলেছেন।
একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের বরাত দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। ধারণা করা হয়, টেলিগ্রাম চ্যানেলটি এমন কেউ পরিচালনা করেন যে বা যারা অতীতে পুতিনের নিরাপত্তা দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তবে ওই চ্যানেলের বাইরে কোনো সূত্র থেকে খবরটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোতে তার সরকারি বাসভবনে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। এরপর তিনি সেখানেই মলত্যাগ করে ফেলেছেন।
পুতিনের নিরাপত্তা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেলের বরাত দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
খবরে দাবি করা হয়, পুতিন সিঁড়ি থেকে পাঁচ ধাপ নিচে পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডের নিচের অংশে আঘাত পান।
টেলিগ্রাম চ্যানেল সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, পুতিনের পাকস্থলী ও অন্ত্র ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার পর তিনি মলত্যাগ করে ফেলেন।
এদিকে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসের খবরে দাবি করা হয়েছে, গত মাসে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেলের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে পুতিনের হাত কাঁপছিল ও ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওই সংবাদমাধ্যমের খবরে আরও দাবি করা হয়, রাশিয়ার নেতাকে ওই বৈঠক চলাকালে অস্বস্তিকরভাবে পা নাড়াতে দেখা গেছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের খবরের দাবি, পুতিনের পড়ে যাওয়ার ঘটনায় তার অসুস্থতা নিয়ে যে গুজব রটেছে, তার সত্যতা আবার প্রমাণিত হল। সাবেক এক ব্রিটিশ গুপ্তচর বলেছেন, ৭০ বছর বয়সী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘গুরুতর অসুস্থ।’ ইউক্রেনে যা ঘটছে, তাতে পুতিনের অসুস্থতা প্রভাব ফেলছে।
তবে পুতিনের এসব অসুস্থতার খবর নতুন নয়। প্রায় এ ধরনের খবর পশ্চিমা গণমাধ্যমে এসে থাকে। কিন্তু সেগুলো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয় না। এমনকি, এসব বিষয়ে রাশিয়াও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি খোলাসা করে না। এবারও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সেইসব গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে অন্যান্য গণমাধ্যমেও খবরটি প্রকাশিত হচ্ছে। তাই খবরটি সত্য-মিথ্যা যাই হোক না কেন, ইতোমধ্যে তা বেগবান হচ্ছে।
সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট, এক্সপ্রেস ইউকে
বিডি প্রতিদিন/কালাম