গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক জজ হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভারতী বংশোদ্ভূত আইনজীবী সুরেন্দ্রন কে প্যাটেল। খবরটা সাধারণ হলেও এর পেছনে আছে একটা অসাধারণ লড়াইয়ের গল্প।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার বাসিন্দা ছিলেন সুরেন্দ্রন। টেক্সাসে ফোর্ট বেন্ড কাউন্টির ২৪০তম বিচারিক আদালতের দায়িত্ব নেন তিনি।
পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান সুরেন্দ্রন। পহেলা জানুয়ারি ২০২৩, বিচারক হিসেবে তিনি শপথ নিয়েছেন। প্যাটেল জানিয়েছেন, কঠোর পরিশ্রম, লেগে থাকার মানসিকতা ও সংগ্রামের কারণেই তার এতো দূর আসা।
শৈশবে দারিদ্র্যের শিকার প্যাটেল। দিনমজুর বাবা-মা তাদের ছয় ভাইবোনের দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাতেই হিমশিম খেয়েছেন। তিন বেলা আহারের জোগাড় করতে শৈশবে বিড়ি বাঁধাইয়েরর কাজ করতে হয়েছে সুরেন্দ্রনকে।
সুন্দ্রেরন বলেন, ‘বিড়ি বাঁধাই করতে গিয়ে আমাদের অনেক রাত পর্যন্ত জাগতে হত।’
কৈশোরে পরীক্ষার ফল খারাপ করায় তিনি স্কুল থেকেও ঝড়ে পড়েছিলেন। ১৫ মাসের এক কন্যা শিশু রেখে তার বড় বোন মারা গেলে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খান ওই বিচারক। ওই ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড বলেই মানতে তিনি।
সুরেন্দ্রন বলেন, ‘সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি আত্মহত্যা বলা নির্ধারণ করা হয়। আমি অনুভব করলাম এই ঘটনার ন্যায় বিচার পাওয়া যায়নি। এটা এখনও আমাকে পীড়া দেয়।’ সেই থেকেই বিচারক হওয়ার চিন্তা মাথায় ঢোকে।
এরপর আবারও স্কুলে ফেরেন সুরেন্দ্রন এবং লেখাপড়ায় মনোযোগী হন। কাজ আর পড়ালেখা চলতে থাকে সমানতালে। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ করেন সুরেন্দ্রন। পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই পান সাফল্যের দেখা।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল