ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। সিএনএনের সাংবাদিক জ্যাক ট্যাপারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার এই ইচ্ছার কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরপরই তাকে মধ্যস্থতা করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না এ কারণে ওই প্রস্তাব নাকচ করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘ওই সময় আমি বিরোধীদলীয় নেতা ছিলাম।’ আমি বলেছিলাম এক সময় কর্তৃত্ব ছিল, এখন নয়।
এখন প্রধানমন্ত্রী সুতরাং যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করতে চান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রাসঙ্গিক সকল পার্টি যদি বলে অবশ্যই আমি বিবেচনা করব।’ তবে এটা করার জন্য নিজ থেকে কোনো চেষ্টা চালাবেন না বলেও জানান তিনি।
সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইরানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের ভিন্নমত রয়েছে। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অটল।
নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি ও তাদের মিত্র অতি-ডানপন্থি জোট গত ১ নভেম্বর সংসদীয় নির্বাচনে সর্বাধিক আসন জয় পায়। এর মধ্য দিয়ে তারা ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদী সরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, যাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থি বলা হয়।
গত মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলের বিতর্কিত উগ্র–ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির আল–আকসা মসজিদ চত্বর পরিদর্শন করেন। এ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এর ফলে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র স্থানটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
নেতানিয়াহুর দায়িত্বগ্রহণের মধ্যে ফিলিস্তিনে ভয়ঙ্কর রূপ দেখাতে শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। চলতি বছরের প্রথম মাসে ৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করতে চাচ্ছেন!
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল