৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১০:৫৮

ম্যাক্রোঁর উচিত ছিল ইসরায়েলের পরমাণু অস্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলা : ইরান

অনলাইন ডেস্ক

ম্যাক্রোঁর উচিত ছিল ইসরায়েলের পরমাণু অস্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলা : ইরান

নেতানিয়াহু ও এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ

ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যে মন্তব্য করেছেন তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তেহরান। ম্যাক্রোঁর মন্তব্যকে অগঠনমূলক বলে উল্লেখ করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার ইহুদিবাদী ইসরায়েল সফরে গিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পরমাণু কর্মকাণ্ডের জন্য ইরানকে অবধারিতভাবে পরিণতি ভোগ করতে হবে।

তিনি আরো বলেছেন, ইরানকে কোনভাবেই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেয়া হবে না। ফরাসি প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, তেহরানে্র শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি আন্তর্জাতিক নজরদারি ও পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং এখানে বাহুল্য কোনো উদ্বেগের প্রয়োজন নেই। এর বিপরীতে ফরাসি প্রেসিডেন্টের উচিত ছিল ইসরায়েলের সন্ত্রাসবাদ এবং গোপনে কীভাবে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করেছে তা নিয়ে কথা বলা। নাসের কানয়ানি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হাতে বহুসংখ্যক পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে, তা মনে হয় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ভুলে গেছেন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতা নিয়াহুর সঙ্গে ম্যাক্রনের বৈঠ ক করাটাই নিন্দারযোগ্য বিষয় কারণ ইসরায়েল এবং নেতানিয়াহু হচ্ছেন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক। তারাই মধ্যপ্রাচ্য এবং ফিলিস্তিনে সহিংসতা, গণহত্যা এবং সাধারণ বেসামরিক লোকজনকে বাস্তুচ্যুত করার অহরহ ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপত্র আরো বলেন, ইসরায়েল হচ্ছে সেই শক্তি যারা দখলদারিত্ব এবং অসংখ্য সামরিক আগ্রাসন পরিচালনা করেছে। ইসরায়েলই হচ্ছে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রধান উৎস।

সূত্র : পার্সটুডে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর