পর্ন তারকাকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পরই মুক্তি পান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের গ্রেফতার ও মুক্তির ঘটনায় একেবারে নীরব সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। যদিও ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা জুড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সমর্থকরা নিয়মিতভাবেই ‘হিলারিকে জেলে ঢুকাও’ স্লোগান তুলেছিল।
ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প গ্রেফতার হওয়ার পর হিলারি টুইটারে একটি বার্তা পোস্ট করেন যার মাধ্যমে তিনি উইসকনসিনের ভোটারদের রাজ্যটির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নিতে আহ্বান জানান। ট্রাম্পকে গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি কিছুই লিখেননি।অন্যদিকে, ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প কর্তৃক উৎসাহী হয়ে তার সমর্থকরা নিয়মিতভাবে কটূক্তি করে হিলারিকে গ্রেফতারের জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। সেই প্রচারণার সময় এবং তার পরের বছরগুলোতে ট্রাম্প নিয়মিতভাবেই বলে বেড়াচ্ছিলেন যে, হিলারি অপরাধ করেছেন এবং তার শাস্তির মুখোমুখি হওয়া উচিত। হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় সরকারি কাজের জন্য ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করেছিলেন মর্মেই ওই অভিযোগ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের আদালতে পৌঁছার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর বিচারকের সামনে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মুখ বন্ধ রাখতে সাবেক এক পর্ন তারকাকে ঘুষ দিয়েছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত