গাজায় আটক জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে নতুন চুক্তির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে গত রবিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৈঠক করেন ইসরায়েল, আমেরিকার, মিশরের গোয়েন্দা প্রধানরা। এতে যোগ দেন কাতারের প্রধানমন্ত্রীও।
বৈঠকে জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনতে ও অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাঠামো নিয়ে একমতও হন তারা।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই কাঠামো অনুযায়ী, হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে প্রাথমিক অবস্থায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি হবে। ওই সময় নারী, শিশু ও বৃদ্ধ জিম্মিদের মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এ রবদলে ফিলিস্তিনি বন্দিদের তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেবে দখলদার ইসরায়েল। পরবর্তীতে ইসরায়েলি সেনাদের মুক্তি দেবে হামাস। তখন যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।
তবে হামাস নতুন এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
মূলত সোমবার সন্ধ্যায় হামাস একটি বিবৃতি দেয়, এতে তারা স্পষ্ট করে জানায়, যেকোনও ধরনের বিরতির শর্ত হল- ইসরায়েলকে তার সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। এরপর জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে আলোচনা হবে।
এছাড়া হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নোনুউ বলেছেন, “আমরা প্রথমে যা নিয়ে কথা বলছি সেটি হল- একটি পূর্ণ এবং বিস্তৃর্ণ যুদ্ধবিরতি। কোনও অস্থায়ী সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়। যখন হামলা বন্ধ হবে; জিম্মি মুক্তিসহ অন্য সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ অবশ্য জানিয়েছে, নতুন জিম্মি চুক্তির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সরাসরি হামাস এ বিবৃতি দিয়েছে কি না সেটি স্পষ্ট নয়।
তবে এটি সত্য যে, নতুন এ চুক্তির প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়নি। আবার এটি পুরোপুরি বাদও দেওয়া হয়নি। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/আজাদ