২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০৯:০৮

এবার হুথিদের ১৮ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা আমেরিকা-ব্রিটেনের

অনলাইন ডেস্ক

এবার হুথিদের ১৮ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা আমেরিকা-ব্রিটেনের

সংগৃহীত ছবি

এবার ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের ১৮ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন।

লোহিত সাগরে একের পর এক জাহাজে হামলার পর শনিবার মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনীর যৌথ এই হামলার ঘটনা ঘটল।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, শনিবারের এসব হামলায় হুথিদের স্টোরেজ সুবিধা, ড্রোন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাডার এবং সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর একটি হেলিকপ্টারকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য বলেছে, হুথিদের সক্ষমতাকে ‘আরও অবনমিত’ করতে কাজ করছে মিত্ররা।

ইরান-সমর্থিত হুথিরা লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট দিয়ে যাতায়াতকারী ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে এবং তাদের এই হামলা অব্যাহত রয়েছে। আর হুথিদের জাহাজে বারবার হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে।

লোহিত সাগরে হুথিদের এই হামলা বিশ্ব বাণিজ্যকে ব্যাহত করেছে এবং অনেকের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে বলে দাবি পশ্চিমাদের। মূলত হুথিরা রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন অব্যাহত থাকার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে যুক্ত জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে তারা।

এক যৌথ বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে, শনিবারের ‘প্রয়োজনীয় এবং আনুপাতিক হামলায় বিশেষভাবে ইয়েমেনের আটটি স্থানে হুথি গোষ্ঠীর ভূগর্ভস্থ অস্ত্র স্টোরেজ অবকাঠামো, ক্ষেপণাস্ত্র স্টোরেজ অবকাঠামো, একমুখী হামলার জন্য প্রস্তুতকৃত মানবহীন বিমান ব্যবস্থা, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাডার ব্যবস্থার সাথে যুক্ত ১৮টি হুথি লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ্য করে এবং একইসঙ্গে একটি হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়’।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য, নৌযান এবং বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে নিরীহ নাবিকদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলার জন্য হুথিদের সক্ষমতা ব্যাহত এবং অবনমিত করার উদ্দেশ্যে এই নিখুঁত হামলাগুলো চালানো হয়েছে।”

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে হুথিরা এখন পর্যন্ত বাণিজ্যিক ও নৌ জাহাজে ৪৫টিরও বেশি আক্রমণ করেছে যা বিশ্ব অর্থনীতি, সেইসাথে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং এই কারণে তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া থাকা উচিত।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউজিল্যান্ডের সমর্থনে এই হামলা চালানো হয়েছে।”

পরে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জোর দিয়ে বলেন, আমেরিকা ‘বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে জীবন এবং বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না’।

আলাদাভাবে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, “সমুদ্রে মানুষের জীবন রক্ষা করা এবং নৌ চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।” সূত্র: বিবিসি

বিডি প্রতিদিন/আজাদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর