২১ মে, ২০২৪ ১৮:১১

গাজা ও ইসরায়েলে যুদ্ধাপরাধ, আলামত পরীক্ষায় আইসিসিকে সহযোগিতা করেন যিনি

অনলাইন ডেস্ক

গাজা ও ইসরায়েলে যুদ্ধাপরাধ, আলামত পরীক্ষায় আইসিসিকে সহযোগিতা করেন যিনি

অমল ক্লুনি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও ইসরায়েলে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসরায়েলি ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) আবেদন করা হয়েছে। এই মামলায় আলামত পরীক্ষায় আইসিসি-কে সহযোগিতা করেছেন মানবাধিকার আইনজীবী অমল ক্লুনি। এর ভিত্তিতেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।

এক বিবৃতিতে অমল ক্লুনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। 

আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও শীর্ষ হামাস নেতাদ ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দেইফ ও ইসমাইল হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। করিম খানের আবেদনের দিনই ওই বিবৃতি দেন ক্লুনি।

ক্লুনি বলেন, করিম খানের অনুরোধে তিনি ইসরায়েল ও গাজায় যুদ্ধাপরাধের আলামত মূল্যায়নসংক্রান্ত একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ছিলেন।

তিনি বলেন, “আমরা ব্যক্তিগতভাবে ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে এলেও আইনগতভাবে যে তথ্যগুলো পেয়েছি, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা সবাই একমত।”

লেবাননের বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যারিস্টার অমল ক্লুনি তার প্রতিষ্ঠান ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিসের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি দিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে অসহায় মানুষদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিনেতা স্বামী জর্জ ক্লুনির সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন অমল ক্লুনি। গাজা উপত্যকায় বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় সোচ্চার না হওয়ায় অতীতে ক্লুনি এবং তার ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়েছিল।

সোমবারের বিবৃতিতে ক্লুনি বলেন, হামাসের ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দেইফ ও ইসমাইল হানিয়া ‘জিম্মি আদান-প্রদান, হত্যাকাণ্ড এবং যৌন নিপীড়নের অপরাধে’ জড়িত ছিলেন।

তিনি বলেন, একইভাবে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টও যুদ্ধ চালিয়ে মানুষকে ক্ষুধা, নিপীড়ন ও মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য দায়ী।

এদিকে, ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের ঘটনায় আইসিসির বিচারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ক্লুনি এবং ওই বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অন্য সদস্যরা একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছেন। এটি সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে ‘ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে’ প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা তাতে লিখেছেন, তারা সর্বসম্মত হয়েছেন যে কৌঁসুলির কাজটি যথাযথ ও ন্যায্য এবং এর আইনি ও তথ্যগত ভিত্তি আছে।

হামাস, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ মিত্ররা পদক্ষেপটির নিন্দা জানিয়েছেন। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, এএফপি, সৌদি গেজেট, এনডিটিভি

বিডি প্রতিদিন/একেএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর