গোটা বিশ্বের সমালোচনা ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। রবিবার সেখানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে রাফায় ইসরায়েলের এ হামলা সীমা লঙ্ঘন করেনি বলে দাবি আমেরিকার।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট দফতর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন- ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন চালিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে না।
ইসরায়েলি বাহিনী শহরটির কেন্দ্রে পৌঁছানো এবং মিশর সীমান্তে নজরদারির জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পাহাড় দখলের খবর আসার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে চলতি মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যদি ইসরায়েল রাফার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ করে তাহলে দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ করা সীমিত করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ হিসেবে বলা হয়, সেখানে লক্ষাধিক বেসামরিক নাগরিক এখনও আশ্রিত আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের হামলায় রবিবার বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুর শিবিরে আগুন ধরে গেলে অন্তত ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের মধ্যে অনেক নারী, শিশু ও বৃদ্ধও রয়েছেন। ইসরায়েল বলছে, তাদের বিশ্বাস হামাসের মজুদ করে রাখা অস্ত্র বিস্ফোরণের কারণেই ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারা হামাসকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং তাদের দু’জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে।
জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, রবিবারের অভিযানের যেসব ছবি পাওয়া গেছে, যেখানে বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ মারা গেছে- তা ছিল ‘হৃদয়বিদারক’ ও ‘ভয়ঙ্কর’।
তিনি বলেন, “সংঘাতের কারণে কোনও নিরীহ মানুষের জীবনহানি হওয়া উচিত নয়। তিনি স্বীকার করেন, ইসরায়েল এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং একইসঙ্গে বলেছেন, রাফার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে তার আগের বক্তব্য পরিবর্তনের কোনও নীতি তার নেই।
কিরবি বলেন, “একটি বড় ধরনের স্থল অভিযান হয়েছে এমনটি আমরা এখনও মনে করি না....এবং এ পর্যায়ে আমরা সেটি দেখিনি। আমরা রাফা শহরে তাদের তেমন ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে দেখিনি। সেখানে তেমন অভিযান হলে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে বলে প্রেসিডেন্ট আগেই জানিয়েছেন।” সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ