যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে নিশ্চিতভাবে এটিই সবচেয়ে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন। হোয়াইট হাউজ ছাড়ার চার বছর পর আবারো সেই কার্যালয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ১৩১ বছরের রেকর্ড ভেঙে কোটি কোটি আমেরিকান ভোট দিয়ে দ্বিতীয় দফায় তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছেন।
ট্রাম্পের জয়ে শুধু রিপাবলিকান দলই নয়, সুখবর পেয়েছেন অনেক মার্কিন ধুনকুবেরও। ট্রাম্পের জয়ের পর বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তির সম্পদ বৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে। ব্লুমবার্গের করা শতকোটিপতির তালিকা বলছে, এক দিনের মাথায় এসব ধনকুবেরের সম্পদ বেড়েছে ৬ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। খবর সিএনএনের।
প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ও ধনকুবের ইলন মাস্ক ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমর্থক। আর ট্রাম্পকে সমর্থনের ফলও বেশ ভালোভাবেই পেয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের জয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে তাঁর। ব্লুমবার্গের হিসেবে, ট্রাম্পের জয়ের পর মাস্কের সম্পদ এক ধাক্কায় ২ হাজার ৬৫০ কোটি বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার কোটি ডলার।
সম্পদ বৃদ্ধির এই তালিকায় দ্বিতীয়তেই আছেন ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। ট্রাম্পের জয়ের পর বেজোসের সম্পদ বেড়েছে ৭১০ কোটি ডলার। নির্বাচনে শুরুতে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছিল বেজোসের মালিকানাধীন মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে ভোটের এক সপ্তাহ আগে বেজোসের নির্দেশে গণমাধ্যমটি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। যার ফলাফল দৃশ্যমান।
ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। ট্রাম্পের জয়ের পর এক দিনে এই ধনকুবেরের সম্পদ বেড়েছে ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। সম্পদ বৃদ্ধির এ তালিকায় আরও রয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন এবং বার্কশায়ার হ্যাথাওর প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট। যদিও তাঁদের কেউই এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেননি। কিন্তু অতীতে এই ধনকুবেরদের ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর পক্ষে কথা বলতে দেখা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ