পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ।
মঙ্গলবার বিভিন্ন বাধা পেরিয়ে শহরের কেন্দ্রস্থল ডি-চকে পৌঁছান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মীরা। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় তাদের।
তবে তাদের প্রতিহত করতে ইসলামাবাদে সংবিধানের ২৪৫ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লমবার্গ জানিয়েছে, সেনাদের ইমরানের পক্ষের বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বহিঃশক্তির আগ্রাসন এবং যুদ্ধের সময়ের জন্য সংবিধানে এই ধারা রাখা হয়েছে। কিন্তু পিটিআইয়ের বিক্ষোভকারীদের দমনে রাজধানী ইসলামাবাদে এই ধারা সক্রিয় করা হয়েছে। যদিও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর গুলিতে কারও মৃত্যুর তথ্য জানা যায়নি।
এছাড়া সংবিধানের এই ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনী যা খুশি তাই করতে পারবে। এজন্য ভবিষ্যতে তাদের কোনও ধরনের বিচারিক ঝামেলায় পড়তে হবে না।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেনাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ‘কাউকে যেন ছাড়’ না দেওয়া হয়।
প্রায় ১০ দিন আগে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু সেই ধারা ভঙ্গ করেই ইমরান খানের সমর্থকরা রাজধানীতে প্রবেশ করেছেন। এরমধ্যে কয়েকশ মানুষ ডি-চকে প্রবেশ করেছিলেন। তখন তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস এবং তাজা গুলি ছোড়া হয়। কাঁদানে গ্যাস ও গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
কয়েক ডজন মামলা ও দণ্ড নিয়ে বর্তমানে কারাগারে বন্দি আছেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাকে মুক্ত করতে ২৪ নভেম্বর থেকে বড় আন্দোলনে নামেন পিটিআইয়ের কর্মীরা। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার স্ত্রী বুশরা বিবি। সূত্র: ব্লুমবার্গ, আলজাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ