জম্মু ও কাশ্মীরে বৃহস্পতিবার বিকালে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ১৯ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি হয়। ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের (এনসিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ২০৯ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পের কম্পন কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় স্পষ্ট অনুভূত হয়। আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি এবং কর্মস্থল থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ঐতিহাসিকভাবে কাশ্মীর উপত্যকা ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। অতীতে ভূমিকম্পে এই অঞ্চলে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞের নজির রয়েছে। আগে কাশ্মীরের গৃহনির্মাণে কাদামাটির ব্যবহার থাকলেও বর্তমানে কংক্রিট-সিমেন্টের বাড়িঘর নির্মাণ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক এই নির্মাণশৈলী ভূমিকম্পের সময় গৃহগুলোকে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর কাশ্মীরে ৭.২ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ওই ভূমিকম্পে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ শহর প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
জম্মু ও কাশ্মীরের চেনাব উপত্যকার দোদা, কিশ্তওয়ার, রিয়াসি এবং রামবান জেলা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিয়মিত ভূমিকম্প অনুভব করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অঞ্চলে পুনরাবৃত্তি হওয়া ভূমিকম্প ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের ইঙ্গিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা কাশ্মীরের ভূমিকম্প-প্রবণ ভূতাত্ত্বিক অবস্থান বিবেচনায় গৃহনির্মাণে আরও টেকসই ও ভূমিকম্প সহনশীল কাঠামো তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন। এতে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার সম্ভাবনা অনেকটা বাড়বে বলে তাদের মত।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল