মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মালয়েশিয়ার উত্তর অংশে ১ লাখ ২২ হাজার এবং থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ১৩ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন। বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, কারণ ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ের সতর্কতা এখনও বহাল রয়েছে।
বন্যার কারণে একাধিক অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে, এবং ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মানুষ কোমরসমান পানির মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে, পাশাপাশি বাড়ি ও গাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। থাইল্যান্ডের সাতেং নক জেলার একটি ভিডিওতে উদ্ধারকারীরা বন্যায় ডুবে যাওয়া একটি বাড়ির ছাদ থেকে একটি শিশুকে উদ্ধার করতে দেখা গেছে।
দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ৫ হাজার ৩৪ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যাতে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। মালয়েশিয়ার কেলানতান রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যেখানে ৬৩ শতাংশ লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কেলানতানের পাসির পুতেহ শহরের এক বাসিন্দা বলেন, তার এলাকা বুধবার থেকে তলিয়ে রয়েছে। জামরাহ মজিদ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, বন্যার পানি এরইমধ্যে আমার বাড়ির করিডোরে চলে এসেছে। আর দুই ইঞ্চি হলেই ভেতরে প্রবেশ করবে।
বিডি প্রতিদিন/এমএস